খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন ছিলেন মুক্তির সংগ্রামের অগ্রসেনানী

0

কারেন্ট টাইমসঃ বিএনপির কেন্দ্রীয় সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডাঃ শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বিএনপির সাবেক মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন ছিলেন গণতন্ত্র ও জনগণের মুক্তির সকল সংগ্রামের অগ্রসেনানী। তাঁর দৃঢ়তা, অটুট মনোবল, সাহস, ধৈর্য্য এবং ব্যক্তিত্বে তিনি ছিলেন অনন্য উচ্চতার একজন ব্যতিক্রমি রাজনীতিবিদ। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীকার আন্দোলন ও বাংলাদেশের মুক্তির সংগ্রামে তিনি অসামান্য অবদান রেখেছিলেন।

তিনি বলেন, ১/১১ এর অবৈধ সরকারের সময়ে দেশের এক চরম রাজনৈতিক ক্রান্তি কালে তিনি দলের মহাসচিবের দায়িত্ব নিয়ে যোগ্য নেতৃত্বতের সাক্ষর রেখেছিলেন। বর্তমানে গণতন্ত্রহীন রাজনীতির এই বিপদজনক যুগে খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের মতো নেতার এখন খুবই প্রয়োজন।

আজ শনিবার (১৬ মার্চ) বাদে আসর নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় সংলগ্ন জামে মসজিদে খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ৮ম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির দোয়া মাহফিল ও স্মরণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন। বেগম খালেদা জিয়ার বিশ্বস্থ সহচর খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের দলের প্রতি অবদানের কথা স্বীকার করে ডাঃ শাহাদাত হোসেন বলেন-অবৈধ সরকার শত প্রলোভন ও চাপ সৃষ্টি করেও তাকে বেগম খালেদা জিয়ার নেত্বত্বের মূলধারা থেকে বিচ্যুত করতে পারেনি।

ওই সময়ে তার এই সাহসী ভূমিকা তাকে নেত্বতের এমন এক স্তরে উন্নীত করেছিলো, যা ছিল হিমালয়তুল্য। বেগম খালেদা জিয়া জেল থেকে বের হবার পূর্ব পর্যন্ত তিনিই ছিলেন দলের নেতা, মুখপাত্র, দিক-নির্দেশক এবং দলের প্রাণপুরুষ। তার অবদান দল ও দেশবাসী চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্বরণ করবে। আমরা তার বিদ্রোহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।

স্মরণ সভায় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির কঠিন দূর্যোগকালে খন্দকার দেলোয়ার হোসেন মহাসচিবের দায়িত্ব পালনে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রেখেছিলেন। আজকের এই দিনে তিনি লাখ লাখ মানুষের শ্রদ্ধা, ভালবাসা এবং আবেগে সিক্ত হয়ে না ফেরার দেশে চলে গেছেন। কিন্তু আজও তিনি বেঁচে আছেন অসংখ্য মানুষের মনিকোঠায়।

তিনি একজন দৃঢ়চেতা, আদর্শনিষ্ঠ রাজনীতিবিদ হিসাবে দেশের মানুষের মনে শ্রদ্ধার আসনে অতিষ্ঠ থাকবেন। দেশবাসী ও বিএনপি নেতাকর্মীরা তাঁর সাহস, সৃজনশীলতা ও মননশীলতাকে অনুসরণ করে তাকে আজীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণে রাখবে।

স্মরণ সভায় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, মহাসচিবের দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন দলের বিরুদ্ধে চক্রান্ত রুখে দিতে যোগ্যতার পরিচয় দিয়েছিলেন। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জাতীয়তাবাদী দর্শনকে বুকে ধারণ করে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে স্বৈরাচারের কবল থেকে গণতন্ত্রে উত্তরণের প্রত্যেকটি আন্দোলন সংগ্রামে খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন এর অবদান দল ও দেশবাসী চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

স্মরণ সভার আগে দলীয় কার্যালয় জামে মসজিদে খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করে বিশেষ মুনাজাত করা হয়। দোয়া ও মিলাদ পরিচালনা করেন জামে মসজিদের সহকারী ইমাম হাফেজ মুহাম্মদ শহীদুল ইসলাম।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলামের পরিচালনায় স্মরণ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এস.এম আবুল ফয়েজ, যুগ্ম সম্পাদক কাজী বেলাল উদ্দীন, কাউন্সিলর আবুল হাশেম, মঞ্জুর আলম মঞ্জু, আনোয়ার হোসেন লিপু, মোঃ শামসুল হক, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক ইয়াকুব চৌধুরী, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মাঈনুদ্দীন মোঃ শহীদ, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হাজী নুরুল আকতার,

সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হালিম স্বপন, সহ-দপ্তর সম্পাদক মোঃ ইদ্রিস আলী, সহ-প্রচার সম্পাদক মোঃ শাহজাহান, সহ-গ্রাম বিষয়ক সম্পাদক সালাহদ্দীন লাতু, থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, আফতাবুর রহমান শাহীন, আব্দুল কাদের জসিম, সদস্য ইউসুফ সিকদার, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আকতার খান, এস এম মফিজ উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক ছাদেকুর রহমান রিপন, আবুল ফয়েজ, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সদস্য শেখ রাসেল, মহানগর যুবদল নেতা মনোয়ার হোসেন মানিক, আনোয়ার হোসেন আনু, মোঃ ইদ্রিছ, আমিনুল হক লিটন, আলাউদ্দিন, বিএনপি নেতা দিদারুল ইসলাম, আব্দুল জলিল, জসিম বাদশা, সুফি মুহাম্মদ ইব্রাহিম, নগর ছাত্রদল নেতা মহসিন কবির আপেল, মোঃ মিল্টন, শফিউল আলম, কামরুল ইসলাম কুতুবী, এন মোহাম্মদ রিমন, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা নাজিম উদ্দিন খান, এ এফ রুমি প্রমুখ।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.