কে হচ্ছেন উপজেলা চেয়ারম্যান ?

0

নিজস্ব সংবাদদাতা, চন্দনাইশ : রোববার ২৪ মার্চ চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে গতকাল ২২মার্চ মধ্যরাত পর্যন্ত প্রচার-প্রচারণার শেষ সময়। প্রচারণার শেষ দিনে ৮ জন প্রার্থী নিজের প্রতীকে ভোট টানতে মরিয়া হয়ে প্রচারণা চালিয়ে যান। প্রত্যেক প্রার্থী কাক ডাকা ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত সমর্থকদের নিয়ে প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় বিরতিহীনভাবে প্রচার-প্রচারণা চালান।

২ জন চেয়ারম্যান, ২ জন ভাইস-চেয়ারম্যান, ৪ জন মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যানের মাইকের আওয়াজে কম্পিত ছিলো পুরো নির্বাচনী এলাকা। গতকাল শুক্রবার প্রার্থীর সমর্থকেরা ভোটের হিসেব-নিকেশ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করেন। বিশেষ করে চেয়ারম্যান পদে নৌকার প্রার্থী এ.কে.এম নাজিম উদ্দিন ও আ.লীগের বিদ্রোহী, স্বতন্ত্র প্রার্থী দোয়াত-কলম প্রতীকের আবদুল জব্বার চৌধুরীর সম্ভাব্য ভোট নিয়ে সারাদিন ভোটার ও সমর্থকদের মধ্যে চলে বিচার-বিশ্লেষণ।

সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হলে কে ভোটে জয়লাভ করবে, তা নিয়ে সমর্থক এবং প্রার্থীদের মধ্যে জল্পনা-কল্পনা অব্যাহত রয়েছে।

বিশেষ করে, ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের হিসেব অনুযায়ী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম চৌধুরী ১ লক্ষ ২৮ হাজার ২’শ ২৮ ভোট পান। বিগত ৬ বারের নির্বাচিত এমপি, এলডিপি’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. কর্ণেল (অব:) অলি আহমদ বীর বিক্রম ছাতা প্রতীক নিয়ে পেয়েছিলেন ১৩ হাজার ৪৪ ভোট।

জাতীয় নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর সাথে সংগতি রেখে উপজেলা নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর ভোটের ব্যবধান নিয়ে কম চিন্তিত নয় আ.লীগের নেতা-কর্মীরা।গত ২০০৮ সালের ৪র্থ উপজেলা নির্বাচনের এলডিপি সমর্থিত প্রার্থী আবদুল জব্বার চৌধুরী চেয়ার প্রতীক নিয়ে ৪০ হাজার ৬’শ ৩৪ ভোট পেয়ে ২য়বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী আ.লীগ সমর্থিত আলহাজ্ব মো. কাসেম পেয়েছিলেন ৩৬ হাজার ১’শ ৩২ ভোট।

উপজেলা আ.লীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর বলেছেন, নেতা-কর্মীরা জোয়ারা ও কাঞ্চনাবাদ ইউনিয়নের ভোটের হিসেব-নিকেশ নিয়ে কিছুটা চিন্তিত। তবে, তিনি আশা প্রকাশ করেছেন যে, গত জাতীয় নির্বাচনে জোয়ারা ইউনিয়নে ৫টি কেন্দ্রে ১০ হাজার ৬’শ ৭৬ ভোটের মধ্যে নৌকা পেয়েছিলো ৭ হাজার ১’শ ৩৮ ভোট। অপরদিকে কর্ণেল অলি’র ছাতা পেয়েছিলো মাত্র ৩৭ ভোট।

একইভাবে কাঞ্চনাবাদ ইউনিয়নের ৫ টি কেন্দ্রে ১৫ হাজার ৮’শ ৪৫ ভোটের মধ্যে নৌকা পেয়েছিলো ১৪ হাজার ৭৫ ভোট। অপরদিকে কর্ণেল অলি’র ছাতা পেয়েছিলো ১’শ ৩৩ ভোট। এবার উপজেলা নির্বাচনেও তার ব্যতিক্রম হবে না বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। কারণ স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল জব্বার চৌধুরীর সাথে এবারের নির্বাচনে আ.লীগ, এলডিপি বা অন্য কোন রাজনৈতিক দলের কোন সমর্থন নেই। এর ব্যত্যয় ঘটলে দায়ভার বহন করতে হবে আ.লীগকে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.