জামাল জাহেদ, মহেশখালি : কক্সবাজার জেলার মহেশখালি উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের ঘটিভাংগা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক শহিদুল আলমকে প্রায় দুবছর আগে শাস্তিমুলক অন্যএে বদলি করলেও, দীর্ঘ দুবছর যাবৎ প্রধান শিক্ষক বিহীন জোড়াতালি দিয়ে কোনমতে লাইফ সাপোর্টে বেচে আছে ১৪শত ছাএছাএীদের একমাএ পড়ার কেন্দ্রস্থল ঘটিভাংগা জুনিয়র মডেল হাই স্কুল,এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ একাধিকবার উপজেলা থানা নির্বাহী অফিসার শিক্ষা অফিসার টিও আশিষ চিরানতে বিষয়টি অবহিত করলেও কোন সুরাহা হয়নি উল্টো স্বল্প শিক্ষক থেকেও দুজন শিক্ষককে ভিন্ন কৌশলে বদলি করে,খাদে পেলেন ঘটিভাংগার ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যতকে,যেনো দেখার কেউ নেই।
এভাবে দুবছরের অধিক সময় ধরে চলছে ঘটিভাংগা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও এই একমাএ উপজেলার মডেল হাই স্কুলের কার্যক্রম। এতে করে শিক্ষক সংকট ও অব্যবস্থাপনায় বিদ্যালয়টি পরিচালিত হওয়ায় ছাত্র-ছাত্রীদের স্বাভাবিক পড়াশোনা নিয়ে অভিভাবক মহলের কাছে সংশয় তৈরী হয়েছে। ফলে হ-য-ব-র-ল ভাবে চলছে ঘটিভাংগা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম।
এমনকি ভারপ্রাপ্ত হিসেবে যিনি প্রধান শিক্ষক হিসাবে আছেন থাকেও অফিসের নানা কাজে হিমশিম খেতে হচ্ছে,সাথে স্কুলের শিক্ষার্থীর সরকারী উপবৃত্তি প্রদানের ক্ষেত্রে নানা জটিলতা উপবৃওি আত্বসাৎের মতো নানা অপকর্মের সৃষ্টি হচ্ছে বারবার।জানা গেছে,অএ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ শহিদুল্লাহকে ১৬ই জুন ২০১৪ইং তারিখে বদলি করেন অন্যএে,প্রধান বিহীন বিদ্যালয় কার্যক্রম পরিচালিত হওয়ায় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার দায়িত্বে অবহেলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সুশীল সমাজ।
স্থানীয় অভিভাবক মহল জানিয়েছেন, বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এসএমসি পরিচালনা কমিটিকে ম্যানেজ করে সব প্রধান শিক্ষকেই নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির মধ্য দিয়ে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে,কারন কমিটির কোন এ ব্যাপারে মাথাব্যথা নেই,বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দায়িত্বে অবহেলা থাকায় বিদ্যালয়ের যাবতীয় স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনায় রীতিমত হিমশিমে পড়েছেন উক্ত স্কুলের অন্যান্য সহকারী শিক্ষকগণ।প্রধান শিক্ষক বিহীন বিদ্যালয়ের কার্যকর সম্পুর্ন ভাবে ভেঙগে পড়েছে,চরম অযত্নে অবহেলায় ব্যাপক হারে দুর্নীতি কাজে জড়িত পড়েছে স্কুলের ম্যানেজমেন্ট,প্রতিমাসে সমালোচিত হয় উপবৃতি বিতরনে দুর্নীতি, নতুন বই বিতরনে টাকা উওোলন,উচ্চমুল্যে ভর্তি ফি আদায়,৬ষ্ট,৭ম,৮ষ্ট শ্রেণীতে ভর্তি পরীক্ষার ফি আদায়ে অনিয়ম,সার্টিফিকেট বিতরনে কমিশন বানিজ্য,সিলিপ কমিটি সহ সরকারি নানা বরাদ্দকৃত টাকা আত্বসাৎ সহ অপরাধে জড়িয়ে স্কুল প্রতিষ্টানকে ব্যবসা প্রতিষ্টানে রুপান্তরিত করেছে বর্তমান কমিটিও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক।
সহকারী শিক্ষকেরা জানায়,তারা অসহায় ১৪শত ছেলেমেয়েদের জন্য মাএ ৬জন শিক্ষক দিয়ে পাঠদান করা খুবই কষ্টের, আর দুর্নীতির বিষয়টা তারা স্বীকার করে বলেন,আসলে সবেই সত্য কিন্তু আমাদের সাথে আলোচনা করেনা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক,দপ্তরী কামাল কে দিয়ে টাকা তুলে নিজের পকেটে ভরে চলে যায়,কোন হিসাব ও দেয়না,এমনকি এসএমসি কমিটিতে থাকা অএ বিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রতিনিধি মন্টুরাম জলদাশ জানান,তিনি একাধিকবার প্রতিবাদ করলেও কোন সমাধান হয়নি,বরং বিদ্যালয়ে যে যার মতো আসে যায় এ অবস্থায় চলে ঘটিভাংগা স্কুলের পরিবেশ।নতুন কমিটির সভাপতি খোকা বলেন তিনি সব জেনেছেন অন্যান্য সহকারীদের কাছ থেকে,ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কে সতর্ক করেছি,ভবিষ্যতে প্রশাসনকে জানাবে।
অন্যদিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে বদলি প্রদান করে ও স্কুলের স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট্র কর্মকর্তা ও জেলা শিক্ষা অফিসার ও মাননীয় সংসদ সদস্যের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন অভিভাবক সহ এলাকার শিক্ষিত সমাজ।নাহয় প্রাথমিক ও গণশিক্কা মন্এানালয়ে স্মারকলিপি প্রদান সহ স্কুলে তালা লাগিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়ে স্থানীয় জনতা।