সংসদে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল ভুলঃ মির্জা ফখরুল

0

সিটি নিউজ ডেস্কঃ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভের পর সংসদে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্তেই সঠিক হয়েছে। এর মাধ্যমে আমরা দুদিকেই আন্দোলন চালিয়ে যেতে পারবো। তিনি বলেন, শেষ পর্যন্ত দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী সংসদে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্তটিই সঠিক হয়েছে।

আজ রবিবার (৫ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে সম্মিলিত ছাত্র ফোরামের আয়োজনে সাবেক বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন আহম্মেদ পিন্টুর চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। এসময় তিনি সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ায় তারেক রহমানকে ধন্যবাদও দিয়েছেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সংসদে যাওয়ার বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যখন আমরা বলেছিলাম, সংসদে যাব না, ওই সিদ্ধান্তটা ভুল ছিল। কারণ আমাদের পার্লামেন্টেও লড়াই করতে হবে, পার্লামেন্টের বাইরেও লড়াই করতে হবে।

গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির ছয় প্রার্থী জিতলেও বিএনপি নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করায় দলের বিজয়ী কেউ শপথ নেননি। তবে শপথ গ্রহণের নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হওয়ার চার দিন আগে, গত ২৫ এপ্রিল শপথ নেন ঠাকুরগাঁও-৩ আসন থেকে নির্বাচিত মো. জাহিদুর রহমান।

দলের সিদ্ধান্ত না মেনে শপথ নেওয়ায় তাকে বহিষ্কার করা হয়। তবে ওই নির্ধারিত সময়সীমার শেষ দিন ২৯ এপ্রিল শপথ নেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ থেকে নির্বাচিত মো. আমিনুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ থেকে নির্বাচিত হারুনুর রশিদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ থেকে নির্বাচিত উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া ও বগুড়া-৪ আসন থেকে নির্বাচিত মোশারফ হোসেন। তারা জানান, দলীয় সিদ্ধান্তে তারেক রহমানের নির্দেশেই শপথ নিয়েছেন তারা। তবে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল শেষ পর্যন্ত শপথ নেননি। পরদিন ৩০ এপ্রিল তার আসন শূন্য ঘোষণা করেন স্পিকার ডা. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

এদিকে, জাহিদুর রহমানের শপথের পর দলের ভেতরে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ‘গণদুশমন’ হিসেবে অভিহিত করেন তাকে। দল থেকে নির্বাচিত মাত্র ছয় জন সংসদ সদস্য শপথ গ্রহণ নিয়ে তিন ধরনের পথ অবলম্বন করায় বিএনপিতেও দেখা দেয় নানা প্রশ্ন। আজ ফখরুল বললেন, সংসদে বিএনপির যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্তই ছিল সঠিক।

নাসির উদ্দিন পিন্টুর স্মৃতিচারণ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাকে কারাগারে হত্যা করা হয়েছে। এসময় দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কারামুক্তির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা দরকার। কারারুদ্ধ অবস্থায় তার স্বাস্থ্যের কিছু হলে এর দায়দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে।

রাজনীতির ময়দানে করণীয় প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, সস্তা স্লোগান দিলে চলবে না। আমাদের পথ বের করতে হবে। পজিটিভ চিন্তা করতে হবে। আমরা বসে থাকব না। পথ খুঁজব। দেশে সুশাসন নেই। বিচার বিভাগসহ গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। এসময় দল ঐক্যবদ্ধ রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

সংগঠনের আহ্বায়ক নাহিদুল ইসলাম নাহিদের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা ইয়াসিন আলী, আক্তারুজ্জামান বাচ্চুসহ অন্যরা।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.