সিটিনিউজবিডি : আর কয়েকদিন পরেই কোরবানি ঈদ। কিন্তু এখনো ঠান্ডা আবহাওয়া বিরাজ করতেছে গরুর বাজারে। বাজারে ক্রেতাদের ভিড় থাকলেও তেমন বেচা-কেনা নেই। চট্রগ্রাম নগরীর বেশ কয়েকটি বড় বড় বাজার পরিদর্শনে এসব তথ্য জানা গেছে। মো: হাসান নামে এক গরু ব্যবসায়ী জানান গত বৃহস্পতিবার ২৫টি গরু নিয়ে তিনি চট্টগ্রাম নগরের বিবিরহাটে এসেছেন। কিন্তু আজ শনিবার এই পর্যন্ত একটি গরুও বিক্রি হয়নি তাঁর। গরুর হাট জমে উঠতে আরও কয়েকদিন লাগবে বলে জানান এই ব্যবসায়ী।
কলেজ শেষে বন্ধুদের সাথে মিলে হাটে গরু দেখতে আসেন রোমেল। তিনি জানান, বাজারে দরদাম কেমন তা দেখার এসেছেন, কেনার জন্য নয়। আরও দু-একদিন পর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গরু কিনবেন তিনি।
এবারে দুটি স্থায়ী হাটের পাশাপাশি এবার নগরে ছয়টি অস্থায়ী পশুর হাট বসেছে। গত বুধবার থেকে এসব হাটের কার্যক্রম শুরু হলেও পশু বেচা-কেনা তেমন হচ্ছে না।
হাটের ইজারাদার ও ব্যাপারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত সব কটি হাটেই দেশি গরুর প্রাধান্য রয়েছে। কুষ্টিয়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, বগুড়া, রাজশাহী, পাবনা, নরসিংদী ও মাগুরা থেকে ব্যাপারীরা গরু নিয়ে এসেছেন। এ ছাড়া চট্টগ্রামের বাঁশখালী ও সাতকানিয়া উপজেলা এবং কক্সবাজারের চকরিয়া থেকেও গরু আসছে। বিভিন্ন হাটে ভারতীয় গরু থাকলেও তা সংখ্যায় খুব কম।
নগরের অস্থায়ী হাটের মধ্যে সবচেয়ে বড় কর্ণফুলী পশুর হাট বসেছে বাকলিয়ার নূরনগর হাউজিং সোসাইটি এলাকায়। গতকাল বিকেলে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, ক্রেতা-বিক্রেতাদের স্বাগত জানাতে বাজারের প্রবেশমুখে তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। এই হাটে গত মঙ্গলবার পাবনা থেকে ২৬টি গরু নিয়ে এসেছেন স্বপন ব্যাপারী। কুষ্টিয়া থেকে ২১টি গরু নিয়ে এসেছেন মোহাম্মদ বাবর ও আমিরুল ইসলাম। তাঁরা একেকটি গরুর দাম হাঁকছেন ৫০ হাজার থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত। তবে লোকজন শুধু দরদাম জেনেই চলে যাচ্ছেন বলে জানান এই তিন ব্যাপারী।
নগরের রিয়াজউদ্দিন বাজারের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘আপাতত গরুর দরদাম দেখছি। ব্যাপারীরা বেশি দর হাঁকছেন। আরও কয়েকটি হাট ঘুরে দেখব। তারপর গরু কিনব।’
নগরের মুরাদপুরের বিবিরহাটে গিয়ে দেখা যায়, দল বেঁধে গরু দেখতে এসেছে কিশোরেরা। কুষ্টিয়া থেকে গরু নিয়ে আসা কাওসার আলম বলেন, গত মঙ্গলবার ২০টি গরু নিয়ে এসেছেন তিনি। তিনি একেকটি গরুর দাম হাঁকছেন ৬০ হাজার থেকে ২ লাখ টাকা। তবে গতকাল বিকেল পর্যন্ত তাঁর একটি গরুও বিক্রি হয়নি। তিনি বলেন, লোকজন শুধু গরুর দাম কত, তা জানতে চায়। এখনো কেনার আগ্রহ নিয়ে কেউ আসেনি।