চট্টগ্রামের এম.এ.হান্নানই প্রথম স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন

0

সিটি নিউজ ডেস্ক :  জাতীয় প্রেসক্লাবে ২০ জুন বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুর পক্ষে প্রথম স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠকারী জননেতা এম এ হান্নানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে বিটিভির সংবাদ উপস্থাপীকা প্রীতিলতা পোদ্দার ও অরুণ সরকার রানার যৌথ সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য জননেতা মোশাররফ হোসেন এমপি, প্রধান আলোচক ছিলেন মাননীয় তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি, বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যাঃ মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম রব্বান।

এতে আরো বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক দিদারুল আলম চৌধুরী, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনীন সরওয়ার কাবেরী, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য আবদুল লতিফ টিপু, তারেক সোলায়মান সেলিম, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বদিউল আলম, মরহুম এম.এ হান্নান এর সুযোগ্য সন্তান সৈয়দ মোহাম্মদ মাহফুজ।

অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা শওকত হোসাইন, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা সুরজিত দত্ত সৈকত, মো: হিমু, চিত্রশিল্পী সাইফুল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মরিয়ম ইসলাম লিজা, নাট্য শিল্পী তানভিন সুইটি, প্রাক্তন ছাত্রনেতা তসলিম উদ্দিন রানা, আসিফ ইকবাল, মোহাম্মদ লিপটন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ চট্টগ্রাম বিভাগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসাইন, উপ-ছাত্রবৃত্তি সম্পাদক শাহনেওয়াজ কবির সানি, উপ বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়ক সম্পাদক শাহাদাত হোসাইন বকুল, শহীদুল ইসলাম মানিক, ঢাকা পলিটেকনিক কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্মসম্পাদক আ.ম.ই চৌধুরী সাজিদ, মাহফুজুর রহমান দূর্জয়, জয় ঘোষ, তানভীর আহসান রবিন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে এম এ হান্নানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে প্রধান অতিথি ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের একজন নিবেদিত প্রাণ। হান্নান চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের প্রথমে সাংগঠনিক সম্পাদক এবং পরে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। প্রধান অতিথি আরো বলেন জিয়াউর রহমান প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। আর বিএনপিতো একটি অবৈধ দল। অবৈধ পন্থায় বিএনপির জন্ম হয়েছে। মরহুম জননেতা এম.এ.হান্নানই ১ম বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ দান করেছিল তা আমি নিজেই রাজসাক্ষী। এর থেকে বড়সত্য আর কিছু হতে পারেনা। আর জিয়াউর রহমান জীবিত অবস্থায় কখনো কোথায় নিজেকে স্বাধীনতা ঘোষক দাবী করেছে এমন কোন বক্তব্য আমি শুনিনি। এমনকি এরকম তথ্য আর্কাইভ বা পৃথিবীর অন্যকোন গণমাধ্যমেও দেখি নাই। জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর হঠাৎ করে তাঁর অবৈধ দল দিনে দিনে জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক দাবী করতে থাকে যা রীতিমত হাস্যকর ও অবাস্তব।

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জিয়াউর রহমান কখনই নিজেকে স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেননি, যা বিএনপি করছে। আওয়ামী লীগ নেতা এম এ হান্নান সর্বপ্রথম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন। তিনি আজ জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা এম এ হান্নানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বলেন, জিয়া কখনই দাবি করেননি যে তিনি স্বাধীনতার ঘোষক কিš‘ বিএনপি জিয়ার মৃত্যুর পর সবসময় ইতিহাস ধ্বংসের চেষ্টা করেছে। তিনি বলেন, আমি তাদের (বিএনপি) স্মরণ করিয়ে দিতে চাই বিদেশেও সুস্পষ্ট দলিলপত্রের ভিত্তিতে বাংলাদেশের সঠিক ইতিহাস লেখা হয়েছে। জননেতা এম এ হান্নান স্মৃতি পরিষদ আয়োজিত অনুষ্ঠানে তাঁর ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

আওয়ামী লীগের উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা এম এ হান্নান চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে সর্বপ্রথম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন। এরপর তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ঘোষণাপত্র পাঠ করার জন্য সেনা সদস্য হিসেবে জিয়াউর রহমানকে আহ্বান জানান উল্লেখ করে বলেন, জিয়া একজন সামরিক কর্মকর্তা হিসেবে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের নির্দেশনা অনুসরণ করেছেন। ড. হাছান বলেন, আসলে বিএনপি’র রাজনীতি মিথ্যার ওপর প্রতিষ্ঠিত এবং দলের জন্মও অবৈধ।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, এখন বিএনপি’র সংসদ সদস্যরা বলছেন এই সংসদ অবৈধ কিš‘ তারা সংসদে গিয়েছেন। তাই তারাও এখন সংসদের অবৈধ সদস্য হয়ে গেছেন। তিনি বিএনপিকে একটি অবৈধ দল হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, কেউ বিএনপিকে রাজপথে দেখতে পায় না, তাদের রাজনীতি নয়াপল্টনে তাদের কার্যালয় কেন্দ্রীক। বিএনপি নেতা রিজভী আহমেদের বক্তব্যের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি’র চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মামলার ব্যাপারে সরকার কোন হস্তক্ষেপ করছে না। তিনি বলেন, বেগম জিয়া ইতোমধ্যেই কয়েকটি মামলায় জামিন পেয়েছেন। তার মুক্তির আর কোন বিকল্প পথ নেই, তাই তিনি মুক্তি পাবেন কি পাবেন না, তা একমাত্র আদালতই ঠিক করবেন। সভার বিশেষ অতিথি ব্যারিষ্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন আমার বিশেষ কোন বক্তব্য নেই। নেতৃবৃন্দ যে বক্তব্য দিয়েছেন তার সাথে সম্পুর্ণ একমত জিয়াউর রহমান নয় বঙ্গবন্ধুর পক্ষে চট্টগ্রামের মরহুম জননেতা এম.এ.হান্নানই ১ম স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ দান করেছেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.