খালেদা রাষ্ট্রপতির কাছে অপরাধ স্বীকার করে ক্ষমা চাইলে মুক্তি মিলবেঃ হানিফ

0

সিটি নিউজ ডেস্কঃ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, খালেদা জিয়া রাষ্ট্রপতির কাছে অপরাধ স্বীকার করে ক্ষমা চাইলে মুক্তি পেতে পারে। কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তির দু’টি পথ বাতলে দিয়ে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া দুর্নীতির মামলায় কারাগারে রয়েছেন। তার মুক্তির একমাত্র পথ আইনি প্রক্রিয়া। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই তাকে মুক্ত করা যেতে পারে। আরেকটি পথ আছে। সেটি হচ্ছে, রাষ্ট্রপতির কাছে অপরাধ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা। এর বাইরে আর কোনো পথ খোলা নেই। আর আন্দোলন সংগ্রামের হুমকি আওয়ামী লীগকে দিয়ে লাভ নেই। আওয়ামী লীগের জন্মই হয়েছিলো পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আন্দোলন করে। অতএব আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আন্দোলনের হুমকি হাস্যকর।

আজ বুধবার (১৭ জুলাই) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘কারাবন্দি দিবস’ উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করে ‘স্বপ্ন ফাউন্ডেশন’ নামে একটি সংগঠন।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপুমনি, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা খন্দকার বজলুল হক, সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন মহাসচিব শাবান মাহমুদ, সাবেক মহাসচিব ওমর ফারুক, বুয়েটের সহকারী অধ্যাপক সানিয়া বিনতে মাহতাব, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি রিয়াজউদ্দিন রিয়াজ।

মাহবুব উল আলম হানিফ আরও বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন, অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দিতে তৎকালীন এক-এগারোর সময় শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এসময় শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বিচারের দাবি জানান তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপুমনি বলেন, এক-এগারোর সময় শেখ হাসিনাকে বেআইনিভাবে গ্রেফতার করে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে সাড়ে ১১ মাস কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছিল। গণতন্ত্রকে হত্যার জন্য শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার ছিল ষড়যন্ত্রের অংশ। জনগণকে সাথে নিয়ে সেই ষড়যন্ত্রকে পিছনে ফেলে ২০০৮ সালে বিপুল ম্যান্ডেড নিয়ে দেশরত্ন শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসলেন। দেশকে বিশ্বের দরবারে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করলেন। কিন্তু ষড়যন্ত্র থেমে নেই। ষড়যন্ত্র চলছে। এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।

সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, শেখ হাসিনা কারাগারে কখনো হা-হুঁতাশ করেননি। আমি যখন দেখা করতে গিয়েছিলাম, আমাদের সাহস দিয়েছিলেন। শেখ হাসিনা কারাগারে বসেই আগামী দিনে দেশ পরিচালনার পরিকল্পনা করেছিলেন। তাই, আজ দেশ উন্নতির শিখরে। দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে।

 

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.