একটি গোষ্ঠী সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করছেঃ পীযূষ

0

সিটি নিউজ ডেস্কঃ ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’-এর আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে প্রিয়া সাহা বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের যে অভিযোগ করেছেন তা তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সুষ্ঠু তদন্তে অবশ্যই থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে।

আজ রবিবার (২১ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রিয়ার বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত চেয়েছেন তিনি।

পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি, একটি সংঘবদ্ধ প্রতিক্রিয়াশীল অপশক্তি আবারও এদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার হীন চেষ্টায় রত।

ট্রাম্পের কাছে প্রিয়া সাহার করা অভিযোগের সঙ্গে বাস্তবতার ‘কোনো মিল নেই’ দাবি করে তিনি বলেন, ৩৭ মিলিয়ন হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী মানুষ নিখোঁজ হয়েছে, বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে এমন কোনো তথ্য বা পরিসংখ্যান নেই।

তার এই অভিযোগ নিয়ে তদন্ত করার দাবি জানিয়ে পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, প্রিয়া সাহা কারও প্ররোচনায় বা অন্য কোনো উদ্দেশ্যে এই মিথ্যাচার করেছেন, সে বিষয়ে একটি সুষ্ঠু তদন্তেরও দাবি জানাই।

তিনি আরো বলেন, প্রিয়া সাহার ঘটনাটি বিচ্ছিন্ন কোনও ঘটনা নয় বলে ধরে নেওয়া যায়। এই ঘটনার দায় সোজাসাপ্টা কথায় কেউ এড়িয়ে যেতে পারে না। সুষ্ঠু তদন্তে অবশ্যই থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সদস্য-সচিব ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল। তিনি বলেন, প্রিয়া সাহার এই বক্তব্যের সঙ্গে ১৯৭৫ সালের পরে বাংলাদেশ নিয়ে যারা ষড়যন্ত্র করেছিলেন, তাদের কোনও যোগসূত্র আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী শিকদার, সাবেক তথ্য ও সংস্কৃতি সচিব মো. নাসিরউদ্দিন আহমেদ, খিস্ট্রিয় ঈশ তত্ত্বের শিক্ষক রেভারেন্ড মার্টিন অধিকারী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বিমান বড়ুয়া, স্বাচিপের যুগ্ম সম্পাদক উত্তম বড়ুয়া, বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতা পলিত ভান্তে, সুদীপানন্দ ভান্তে, হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা আনন্দ চক্রবর্তী।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া সাহা ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে ওয়াশিংটনে এক সম্মেলনে যোগ দিয়ে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে গত ১৭ জুলাই হোয়াইট হাউজে যান।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে তিনি বলেন, বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা মৌলবাদীদের নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন। প্রায় ৩ কোটি ৭০ লাখ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান নিখোঁজ হয়েছেন। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সাহায্য চান তিনি।

তার ওই বক্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে দেশের বিভিন্ন মহলে। সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ‘ক্ষুণ্নের উদ্দেশ্যেই’ প্রিয়া সাহা ওই ধরনের ‘বানোয়াট ও কল্পিত অভিযোগ’ করেছেন। দেশে ফিরলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেও ঘোষণা দেন একজন মন্ত্রী।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.