মাকে ছেলেধরা সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা,তুবার কী হবে?
সিটি নিউজ : ঢাকা রাজধানীর উত্তর পূর্ব বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা করা হয় তাসলিমা বেগম রেনুকে স্থানীয় কয়েকজন যুবককে শনাক্ত করেছে পুলিশ। স্কুলের দোতলা থেকে করা একটি মোবাইলের ভিডিও দেখে তাদের শনাক্ত করা হয়েছে।
শনিবার সকালে ওই ঘটনার পর থেকেই বিষয়টি নিয়ে তোড়জোড় শুরু করেছে পুলিশ। গণপিটুনি বন্ধে জনসাধারণের উদ্দেশ্যে বার্তাও পাঠিয়েছে। তবে সারাদেশের গণপিটুনির ঘটনায় পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেফতার করেনি।
স্কুলের অভিভাবকরা জানান, অনেকে ভিড় করলেও স্থানীয় তিন-চার যুবকই মূলত তাকে মারধর করে হত্যা করেছে। বাকিরা পেছন থেকে ‘মার, মার’ চিৎকার করছিল।
এদিকে শিশু তুবার বোঝার বয়স হয়নি, মার কী হয়েছে। সে কেবল বলে যাচ্ছিল, ‘আমার মা নাই।’ কাঁদছিল স্বজনরা। উপস্থিত গণমাধ্যমর্কীদের চোখের কোনাতেও পানির ধারা। বাবা পাশে নেই, নানি শয্যাশায়ী, এখন কী হবে শিশুটির- এই প্রশ্ন এখন বড় হয়ে উঠেছে।
এ ঘটনায় শনিবার রাতে বাড্ডা থানায় হত্যা মামলা করা হয়। মামলায় অজ্ঞাত ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
ঘটনাস্থলে ধারণকৃত একটি মোবাইলের ফুটেজে দেখা যায়, ওই নারীকে প্রধান শিক্ষকের রুম থেকে টেনে-হিঁচড়ে বের করার পর মুহূর্তেই লোক জড়ো হয়ে তাকে ঘিরে ফেলে। তবে স্থানীয় চার-পাঁচ যুবক তাকে লাঠি দিয়ে পেটাচ্ছিল ও এলোপাতাড়ি লাথি মারছিল। ভিডিওর ৩-৪ মিনিটের মধ্যেই সে অচেতন হয়ে পড়ে। এরপর পুলিশ তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে পুলিশের বাড্ডা জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আহমেদ হুমায়ূন বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থল থেকে সিসিটিভি ক্যামেরা ও মোবাইলে ধারণকৃত কিছু ফুটেজ যাচাই-বাছাই করছি। অনেকের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। এ পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। তবে মামলা যেহেতু হয়েছে, জড়িতদের শনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনা হবেই।