আল-আমিন সিকদার,চট্টগ্রাম : ঈদ মানেই আনন্দ বা বাড়তি খুশির আবহাওয়া যার বাড়তি ছোঁয়া লেগেছে পরিবহন গুলোতেও। যাত্রীদের কাছ থেকে ঈদ বোনাস বলে অনৈতিক ভাবে আদায় করছে অতিরিক্ত ভাড়া।
ঈদের আনন্দ গুলো পরিবারের সাথে ভাগাভাগি করে নেবে বলে সব কিছুকে উপেক্ষা করে নাড়ীর টানে বাড়ি যেতে বিভিন্ন বাস,ট্রেন ও লঞ্চ টার্মিনালে ভিড় জমায় যাত্রীরা। আর সেই ভিড়ের অপেক্ষায় পরিবহন গুলোর মালিকগণ। কেননা বছরে মাত্র এমন ভিড় অর্থাৎ যাত্রী মেলে মাত্র দুই বার। আর তাই স্বল্প সময়ে অধিক ভাড়া আদায়ে ব্যস্ত পরিবহন মালিকরা। প্রতি বছর এমনটাই করে আসছে পরিবহন গুলো।
ঈদে যাত্রীদের সকল সুবিধা দেওয়ার জন্য সদা প্রস্তুত থাকে সরকারি সংস্থা গুলো। তবু তাদরে চোখের আড়ালেই অনৈতিকভাবে বোনাস আদায়ে ব্যস্ত থাকে পরিবহন গুলো।ঈদে প্রিয় মানুষের সাথে সময় কাটানোর জন্য নগরীর ইপিজেডের বাস কাউন্টার গুলোতে দেখা মেলে উপচে পড়া ভিড়।
ভাড়া দ্বিগুন জানার পরও টিকিট সংগ্রহে ব্যস্ত থাকা যাত্রী মোঃ দিদারুল ইসলামকে কেন দ্বিগুন ভাড়া দিয়ে টিকিট কিনছেন প্রশ্ন করলে তিনি জানায়, ’ভাই এটা বাংলাদেশ, এখানে নৈতিকতা বলতে কিছু নেই। সুতরাং যদি বাড়ি যেতে হয় তাহলে নিজের টাকায় অনৈতিক প্রস্তাবকে মেনেই বাড়ি যেতে হবে। আপনারা কিছুই করতে পারবেন না।’
কেন অনৈতিক ভাবে দ্বিগুন ভাড়া আদায় করা হচ্ছে তা জানতে চাইলে, কাউন্টারে বসে থাকা সালাউদ্দিন জানায়, ’মালিকের নির্দেশ অনুযায়ি আমরা কাজ করছি,আমার কিছুই করার নেই।’তবে যাই হোক দীর্ঘ ভোগান্তিতে বাড়ী ফেরাও কম কিসে? দ্বিগুন ভাড়া দিয়ে হলেও ঈদে সকলের সাথে আনন্দ করতে বছরে ২ বার গ্রামের বাড়ীতে কিছুটা স্বচতি পাই ।এদিকে পথে পথে গাড়ীর যানযট আর পশুর হাটের কারনে সাধারণ যাত্রী ও গণমানুষের ভোগান্তী ও কম নহে ।সর্বশেষ হচ্ছে এই যে,বিপদ আর চরম ভোগান্তি মাথায় নিয়ে নাড়ীরটানে বাড়ী ,বোনাসের টানে গাড়ি ধরেই বাড়ী যাবে এসব স্বপ্ন বাজ নিরীহ লোকজন ।