ক্যাসিনো সম্রাট কেরানীগঞ্জ কারাগারে
সিটি নিউজ ডেস্ক : ঢাকার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে ক্যাসিনো সম্রাটকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সন্ধ্যা ৭টায় তাকে নিয়ে রওয়ানা হয় র্যাব। এর আগে তার কার্যালয়ে পশুর চামড়া রাখার দায়ে ক্যাসিনো সম্রাট খ্যাত যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে ছয় মাসের জেল দিয়েছেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম।
রোববার ৬ অক্টোবর দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে র্যাবের একটি দল কাকরাইলে ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে তালা ভেঙে সম্রাটের কার্যালয়ে ঢুকে অভিযান শুরু করে। কার্যালয় থেকে একটি পিস্তল, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ ও দুটি ক্যাঙ্গারুর চামড়া পাওয়া যায়।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের আটকের পর আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং সারোয়ার বিন কাশেম জানিয়েছেন, সম্রাটকে রিমান্ডে নেয়া হলে আরও অনেক তথ্য বের হয়ে আসবে।
ইসমাইল হোসেন সম্রাটের বিরুদ্ধে কতগুলো মামলা হয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে র্যাব এই কর্মকর্তা আরও বলেন, তার বিরুদ্ধে কতগুলো মামলা হয়েছে তা এখনই বলতে চাই না। বা তার সঙ্গে আরও কারা কারা জড়িত সেটি রিমান্ডে নেয়ার পর বলতে পারব।
এর আগে ভোর ৫টার দিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আত্মগোপনে থাকা সম্রাটকে। তার সঙ্গে আরমান নামে তার এক সহযোগীকেও আটক করা হয়। পরে ঢাকায় এনে তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদও করে র্যাব।
এদিকে যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী ওরফে সম্রাটকে সংগঠনটি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ।
ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর সম্রাটের নাম আসার পর থেকেই তাকে নিয়ে নানা গুঞ্জন রয়েছে। অভিযান শুরুর পর হাইপ্রোফাইল কয়েকজন গ্রেপ্তার হলেও খোঁজ মিলছিল না সম্রাটের। এসবের মধ্যেই তার দেশত্যাগেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এরপর শনিবার রাত থেকেই তার গ্রেপ্তার হওয়ার খবর আসলেও রোববার সকালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।