যুবলীগ থেকে বহিষ্কার হলেন সম্রাট-আরমান

0

সিটি নিউজ ডেস্ক : ক্যাসিনো চালানোর তথ্য প্রকাশের পর আত্মগোপনে থাকা ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট ও সহ সভাপতি এনামুল হক আরমানকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।তাদের গ্রেপ্তারের পর অসামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অপরাধে দল থেকে বহিষ্কার করেছে যুবলীগ।

সম্রাট ও আরমানকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়েছে। ঢাকায় এনে তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদও শুরু করেছে র‌্যাব।

এর আগে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রামে এক আত্নীয়ের বাসা থেকে আজ রোববার ভোর ৫ টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

র‌্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক এএসপি মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এ ব্যাপারে স্থানীয়রা জানান, গভীর রাতে ওই এলাকায় একটি বাড়ি র‌্যাব ঘিরে রাখে। পরে সম্রাটকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। স্থানীয়রা আরও জানান, কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রামের এক আত্মীয়ের বাসায় আত্মগোপনে ছিলেন সম্রাট।

প্রসঙ্গত আলোচিত যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট ঢাকার জুয়াড়িদের কাছে ‘ক্যাসিনো সম্রাট’ হিসেবে পরিচিত। জুয়া খেলাই তার পেশা ও নেশা। প্রতিমাসে ঢাকার বাইরেও যান জুয়া খেলতে।

সম্প্রতি রাজধানীতে ক্লাব ব্যবসার আড়ালে অবৈধ ক্যাসিনো পরিচালনার অভিযোগে র‌্যাবের হাতে ধরা পড়েন সম্রাটের ডান হাত হিসেবে পরিচিত যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া।

এরপর ধরা পড়েন রাজধানীর টেন্ডার কিং আরেক যুবলীগ নেতা জিকে শামীম। এ দুজনই অবৈধ আয়ের ভাগ দিতেন সম্রাটকে। তারা গ্রেপ্তার হওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদে সম্রাটের অবৈধ ক্যাসিনো সাম্রাজ্য নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দেন। প্রকাশ্যে চলে আসে সুন্দর অবয়বের আড়ালে সম্রাটের কুৎসিত জগত। এতে করে বেকায়দায় পড়েন সম্রাট।

এর পর গা ঢাকা দেন যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট। আড়ালে থেকেই গ্রেপ্তার থেকে বাঁচতে নানা তৎপরতা শুরু করেন। ফন্দিফিকির শুরু করেন কীভাবে নিজেকে বাঁচানো যায়। তবে শেষ রক্ষা আর হলো না।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.