চট্টগ্রামে এনআইডি জালিয়াতির অভিযোগে ইসির ২কর্মকর্তা আটক

0

সিটি নিউজঃ চট্টগ্রামের আলোচিত জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) জালিয়াতি মামলার ঘটনায় নির্বাচন অফিসের আরো ২কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করেছেন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।

আজ বুধবার (১৩ নভেম্বর) দুপুর ২টায় চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কমিশন অফিস ও মীরসরাই নির্বাচন অফিস থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো- মো. আনোয়ার হোসেন (৪৫) ও মো. আবুল খায়ের (৪৫)। আনোয়ার হোসেনের পিতার নাম মো. আরব আলী (কুমিল্লা) ও আবুল খায়েরের পিতার নাম আনু মিয়া ভুঁইয়া (নোয়াখালী)।

এদের মধ্যে আবুল খায়ের বর্তমানে সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয় চট্টগ্রামে উচ্চমান সহকারি হিসেবে কর্মরত ও মো. আনেয়ার হোসেন মীরসরাই উপজেলা নিবার্চস অফিসে অফিস সহকারি হিসেব কর্মরত রয়েছেন। কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট চট্টগ্রামের উপ-কমিশনার মো. শহীদুল্লাহ বলেন, রোহিঙ্গাদের এনআইডি প্রদানের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের দু’জনকে বুধবার দুপুর ২টার দিকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় ইতিমধ্যে যারা গ্রেফতার হয়েছে এবং নির্বাচন কমিশনার যেসব তথ্য দিয়েছেন সেখানে তাদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তাদের মীরসরাই নির্বাচন কমিশন অফিস ও চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে তাদের দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ২২ আগস্ট লাকী নামের এক নারী চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে এনআইডির স্মার্ট কার্ড তুলতে গেলে কর্মকর্তাদের সন্দেহ হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে ওই নারী রোহিঙ্গা সে জানায় টাকা দিয়ে এনআইডি করিয়েছেন। পরদিন এ ঘটনায় মামলা করে সিআইডি। ওই ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে ধরা পড়ে ইসির ডবলমুরিং থানার অফিস সহায়ক (পিয়ন) জয়নাল আবেদীন। জয়নাল একটি ল্যাপটপ চুরি করে নির্বাচন কমিশনের সফট ওয়ার ব্যবহার করে নিজ বাসায় বসে টাকার বিনিময়ে বিভিন্নজনকে এনআইডি তৈরি করে দিচ্ছেন। একই প্রক্রিয়ায় জড়িত কর্মচারী মোস্তফা ফারুকও।

তারা ইসির ল্যাপটপ চুরি করে সফট ওয়ার ব্যবহার করে এই জালিয়াতির কাজ করতেন। জানা গেছে, ২০১৪ সালে চন্দনাইশ কার্যালয় থেকে চারটি ল্যাপটপ চুরি হয়। এ বিষয়ে তখন চন্দনাইশ থানায় একটি মামলা করা হয়। সেই মামলায় চন্দনাইশ থানা পুলিশ চুড়ান্ত প্রতিবেদন দেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.