বাকলিয়াকে মডেল টাউন রূপান্তরে প্রকল্প হাতে নিয়েছে চসিকঃ মেয়র

0

সিটি নিউজঃ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, নগরীর বৃহত্তর বাকলিয়াকে মডেল টাউন করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। এ লক্ষে পুূর্ব, পশ্চিম ও দক্ষিণ বাকলিয়ায় রাস্তা উচুঁকরণ, ফুটপাত ও কালভার্ড নির্মাণ এবং রাস্তা প্রশস্থকরণসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণে প্রায় ১শত ৫০ কোটি টাকার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আরো ১শত কোটি টাকার কাজ চলমান রয়েছে।

আজ শনিবার সকালে ১৮নং পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ডস্থ আবদুল লতিফ হাট ব্রিজের ফলক উন্মোচন এবং পূর্ব বাকলিয়ার ২১টি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ উদ্বোধনকালে মেয়র একথা বলেন।

পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ডে গৃহীত প্রকল্পের মধ্যে বন্যা ও জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় ৬টি প্রকল্পের ব্যয় বাবদ ২২ কোটি ৯২ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা, প্রধান সড়ক প্রকল্পের আওতায় ২টি প্রকল্পের ব্যয় বাবদ ৯ কোটি ২০ লক্ষ ৫৩ হাজার টাকা, সড়ক নেটওয়ার্ক এবং বাস/ট্রাক টামির্নাল নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ৩টি প্রকল্পের ব্যয় বাবদ ২০ কোটি ৭৯ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা, বারইপাড়া খাল নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ৯টি প্রকল্পের ব্যয় বাবদ ৫৫ কোটি ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা এবং মিয়াখান নগর রোডের উন্নয়ন প্রকল্প ব্যয় বাবদ ২ কোটি ৪ লক্ষ ৩ হাজার টাকাসহ সর্বমোট ১০৯ কোটি ৯৯ লক্ষ ৬১ হাজার টাকা ব্যয় হচ্ছে।

বৃহত্তর বাকলিয়াকে মডেল টাউন নির্মাণ প্রসঙ্গে সিটি মেয়র বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের উন্নয়নে আন্তরিক। তাই তিনি চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, ওয়াসা, পানি উন্নয়ন বোর্ড, টিএন্ডটি, বিদ্যুৎ এর পাশাপাশি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকেও বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব দিয়েছে।

বারইপাড়া খাল নির্মাণ প্রকল্প এর কথা উল্লেখ করে মেয়র বলেন, এ বারইপাড়া খাল প্রকল্পটি নান্দনিক দিক বিবেচনায় খালের দু’পাশে প্রয়োজনীয় বার্ড়তি জায়গা অধিগ্রহন করে ওয়ার্কওয়ে নির্মাণের নির্দেশনা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী। ২.৯ কিলোমিটার দীর্ঘ ৬৫ ফুট প্রশস্থ নতুন খাল খনন কালে এর দু’পাশে প্রতিরোধ দেওয়াল নির্মাণ করা হবে। দু’পাশে ২০ফুট করে সড়ক ও ৬ ফুট করে ওয়ার্কওয়ে থাকবে। এখানে আরো থাকবে মিড আইল্যান্ড, বসা ও বিনোদনের ব্যবস্থা। এক কথায় বারইপাড়া খাল খননটি বিদেশের আদলে একটি নান্দনিক এলাকা হিসেবে পরিণত হবে।

তিনি বলেন, খাল খননের জন্য যেসব ভূমি মালিকের অধিগ্রহন করা হবে তাদের টাকা যথাযথ প্রক্রিয়ায় মৌজামূল্যের তিনগুন নির্ধারণ করে পরিশোধ করা হবে। এ ক্ষেত্রে একচুল পরিমাণ অনিয়মের কোন সুযোগ থাকবে না। কোন ভূমি মালিকের কোন ভবন যদি প্রকল্পের প্রস্তাবিত এলাইনমেন্টের মধ্যে পড়ে, তবে তাদেরকে গণপূর্ত অধিদপ্তরের নিয়মানুসারে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে বলে মেয়র উল্লেখ করেন।

মেয়র বাকলিয়াবাসী নিজেদের দুঃখ দুর্দ্দশা লাঘবে সর্বোচ্চ ত্যাগের মাধ্যমে নতুন এই খাল খননে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

প্রকল্প উদ্বোধনকালে স্বাগতিক কাউন্সিলর আলহাজ্ব হারুন উর রশিদ, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফারজানা পারভীন, সাবেক কমিশনার মো. ইসহাক, মো. জসিম উদ্দিন, জালাল উদ্দিন ইকবাল, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আহমেদ ইলিয়াছ, এড. মো. ইউসুফ, সৈয়দ কুতুব উদ্দিন, ইয়াকুব সওদাগর, হাজী আবদুল করিম, মো. সেকান্দর ও চসিক নির্বাহী প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম, সহকারী প্রকৌশলী আরিফুল রহমানসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ফিতা কেটে আবদুল লতিফহাট ব্রিজ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র। পরে দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মুনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.