চট্টগ্রাম উত্তর আ. লীগের সম্মেলন ৭ ডিসেম্বরঃ আসতে পারে নতুন মুখ

0

জুবায়ের সিদ্দিকীঃ দীর্ঘ ৭ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। এবার সমঝোতার ভিত্তিতে নেতৃত্ব নির্বাচিত হবে বলে দলীয় একটি সূত্রে আভাস পাওয়া গেছে। দলের হাইকমান্ড সুত্র জানায়, দলে এবার নতুন প্রজন্মের তরুণদের গুরুত্বপূর্ণ পদে আনা হবে।

আগামী ৭ ডিসেম্বর নগরীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের শেষ সম্মেলন হয়েছিল ২০১২ সালের ২৫ ডিসেম্বর।

এবার সভাপতি প্রার্থী দু’জন হলেও সম্মেলনে চমক থাকছে নেতৃত্ব নিয়ে। একজন বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও রাউজানের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী ও অন্যজন সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ ছালাম। নেতাকর্মীদের কৌতূহল সভাপতি প্রার্থী নিয়ে। সভাপতি পদে প্রার্থী আছেন দুজন। কিন্তু এ দুজনের মধ্যে কে হবেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের কাণ্ডারী ?

অনেকেই মনে করছেন সালামকেই দেওয়া হতে পারে সভাপতির দায়িত্ব। উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছিল ২০১২ সালের ২৫ ডিসেম্বর। ওই সম্মেলনে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন সভাপতি ও এম এ সালাম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি সভাপতি পদ ছেড়ে দেন।

এরপর কেন্দ্র থেকে উত্তর জেলার সভাপতি মনোনীত করা হয় সংগঠনের তিন নম্বর সহ-সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য নুরুল আলম চৌধুরীকে। গত ২৭ জানুয়ারি তিনি মারা গেলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্র থেকে এ শূন্য পদে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হন সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী। তিনি ছিলেন ২য় সহ-সভাপতি। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ এখন কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করলেও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগে তাঁর প্রচ্ছন্ন প্রভাব রয়েছে। সম্মেলনে সভাপতি পদে দুই প্রার্থী-ফজলে করিম চৌধুরী ও এম এ সালাম দু’জনই তাঁর ঘনিষ্ঠ।

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘দুজনের মধ্যে সমঝোতা হতে পারে, না হয় সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে ভোটাভুটিতে নেতৃত্ব নির্বাচিত হবে। বিগত সময়ে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে কাউন্সিলররা ভোট দিয়ে নেতৃত্ব নির্বাচিত করেছেন।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সম্মেলনে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সিদ্ধান্ত দেবেন কোন্ প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব নির্বাচিত হবে। তবে যে প্রক্রিয়ায় হোক না কেন সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনেই নেতৃত্ব নির্বাচিত হবে।’

এব্যাপারে এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী বলেন, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে সংগঠনের জন্য আমি কী কাজ করেছি তা নেতাকর্মীরাই মূল্যায়ন করবেন। সম্মেলনে কাউন্সিলররা যে সিদ্ধান্ত নেবেন তা মেনে নেবো।

এম এ সালাম বলেন, ‘২০১২ সালে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে আমি প্রার্থী ছিলাম না। কাউন্সিলররাই আমাকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করেছেন। এই সম্মেলনেও আমি নিজেকে প্রার্থী ঘোষণা করিনি, নেতাকর্মীরাই বলাবলি করছে। এবারও আমার ভাগ্য কাউন্সিলররা নির্ধারণ করবেন।

এবার সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদে ছয় প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। এরা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ইউনুচ গণি চৌধুরী, জসিম উদ্দিন, ফটিকছড়ি উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, মিরশ্বরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি শেখ আতাউর রহমান এবং মিরসরাই উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন।

এবার সম্মেলনে নতুন কমিটিতে আসতে পারে চমক। সহ-সম্পাদক বা সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ফটিকছড়ির আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য শিল্পপতি ও দানবীর সাদাত আনোয়ার সাদীর নাম আসতে পারে। কারনঃ সাদীর সাংগঠনিক ও জনকল্যাণমুখী মানবিক কর্মকা-ে সন্তুষ্ট দলের হাই কমান্ড। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের আসন্ন সম্মেলনে ফটিকছড়ির কৃতি সন্তান সাদাত আনোয়ার সাদীকে যথাযথভাবে মূল্যায়ন করার জন্য ফটিকছড়ির তৃণমূলের নেতাকর্মীগণ দলীয় হাইকমান্ডকে অনুরোধ করেছেন। ফটিকছড়ির জনপদে উন্নয়নের রূপকার সাদী ইতিমধ্যে উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন কাজ করা ছাড়াও দুস্থ মানুষের সেবায় নিজেকে আত্মনিয়োগ করেছেন। ফটিকছড়ির বিদ্যুৎ হাসপাতাল যাতায়াত ব্যবস্থা ও আইনশৃংখলা উন্নয়নে পুলিশ প্রশাসনকে সার্বিক সহযোগীতা করে প্রশংসীত হয়েছেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.