কলকাতা বন্দরের নাম হবে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের নামেঃ মোদি

0

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কলকাতা বন্দরের নাম পরিবর্তন করার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বললেন কলকাতা বন্দরের নাম হবে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের নামে। পোর্ট ট্রাস্ট্রের ১৫০ বছর পূর্তিতে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের নামে কলকাতা বন্দরের নাম করনের ঘোষনা দিলেন তিনি।

নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে বন্দর কর্তৃপক্ষ আয়োজিত অনুষ্ঠানে

আজ রবিবার (১২জানুয়ারি) কলকাতা বন্দরের নাম হবে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের নামে- এ ঘোষণা দেন মোদি। ‘ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে দেশে শিল্পায়নের প্রণেতা’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে মোদি বলেছেন, তাঁর পরামর্শকে উপযুক্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।

পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়নে কেন্দ্রীয় সরকার কী কী করছে এবং কী কী করতে চায়, এ দিনের অনুষ্ঠানে তা-ও বিশদে তুলে ধরেন মোদী। এ রাজ্যের সরকারই রাজ্যের উন্নয়নে বাধা দিচ্ছে— এমন ইঙ্গিতও প্রধানমন্ত্রী খুব স্পষ্ট ভাবে দেন নিজের ভাষণে।

মোদি বলেন, শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি দেশের শিল্প ভাবনার পথিকৃৎ ছিলেন। তিনি এক দেশ, এক সংবিধানের জন্য লড়েছিলেন। চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ কারখানা, ডিভিসি, হিন্দুস্তান বিমান কারখানা তার হাত ধরেই গড়ে উঠেছিল যা দেশের অগ্রগতিতে কাজে এসেছে।

মোদি অভিযোগ করে বলেন, শ্যামাপ্রসাদ এবং বাবাসাহেব তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকার থেকে পদত্যাগের পর তাদের পরামর্শ বা মতামত মানা হয়নি।

নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘‌ সারা দেশের কাছে কলকাতা বন্দর শিল্প, আধ্যাত্মিকতা এবং স্বনির্ভরতার প্রতিচ্ছবি। তাই এ বন্দর যখন নিজের সার্ধ শতবর্ষ উদ্‌যাপন করছে তখন এটা আমাদের দায়িত্ব তাকে নতুন ভারতের শক্তিশালী প্রতীক হিসেবে গড়ে তোলা।’‌

কলকাতার জলপথ পরিবহন বিস্তার প্রসঙ্গে মোদি বলেন, ‘‌বারাণসী–হলদিয়া আগেই গঙ্গা দিয়ে জলপথে সংযুক্ত করা হয়েছে। এবার ‌গঙ্গার গভীরতা বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। যাতে ২০২১ সালের মধ্যে গঙ্গা দিয়ে বড় জাহাজ চালানো যায়।’

নরেন্দ্র মোদি বলেন, কলকাতা বন্দরের সম্প্রসারণ এবং আধুনিকীকরণের জন্য কয়েকশো কোটি টাকার প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর করা হয়েছে যার লাভ পাবে সারা বাংলাই। আদিবাসী মেয়েদের জন্য শিক্ষা এবং দক্ষতা উন্নয়ন কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি।

দেশের অর্থনীতি প্রায় আইসিইউতে চলে গেলেও রোববার নেতাজি ইনডোরে মোদি কিন্তু ফের জোর গলায় বড়াই করেন, কেন্দ্রের একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কারণেই দেশ আগের থেকে এখন অনেক শক্তিশালী। তার দাবি, প্রধানমন্ত্রী কৃষক সম্মান নিধিতে উপকৃত হয়েছেন দেশের আট কোটি কৃষক। আয়ুষ্মান ভারতের জন্যও সুচিকিৎসা পাচ্ছেন কয়েকশো গরিব মানুষ। এদিনের অনুষ্ঠানে যাননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। যদিও অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত ছিলেন মমতা।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.