শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা দেওয়ার লক্ষ্যে সংবর্ধনা কমিটি

0

ঢাকা অফিস   :      জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক সর্বোচ্চ পুরস্কার চ্যাম্পিয়ন্স অব দ্য আর্থ এবং ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের আইসিটি টেকসই উন্নয়ন পুরষ্কার লাভ করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা দেবে জাতীয় নাগরিক কমিটি। একই সাথে আগামী ৩ অক্টোবর দুপুর দেড়টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গণভবন পর্যন্ত রাস্তার দুপাশে অবস্থান নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাবে দলীয় নেতা কর্মীরা। আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিতে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সভা শেষে এ কথা জানান সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম। তিনি বলেন, দেশে কোনো জঙ্গি হুমকি নেই।

শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা দেওয়ার লক্ষ্যে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যরা দলটির ধানমন্ডি কার্যালয়ে বৈঠক করেন। সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ৩ অক্টোবর দুপুর দেড়টায় দেশে ফিরবেন। বিমানবন্দর থেকে গণভবন পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য এ বি তাজুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক, অসীম কুমার উকিল, মৃণাল কান্তি দাস প্রমুখ।
এক প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ইতালিয়ান নাগরিককে হত্যার বিষয়টি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এর সঙ্গে জঙ্গির কোনো সম্পৃক্ততা নেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জরিপে বেরিয়ে এসেছে তাদের দেশের চেয়েও বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতি ভালো।
অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফর স্থগিতের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে নাসিম বলেন, জঙ্গি কথাটা শুধুই অজুহাত। মানুষ এটা বিশ্বাস করে না। বাংলাদেশে ক্রীড়াক্ষেত্রে কখনই কোনো হামলা হয়নি। তিনি বলেন, বাংলাদেশ জঙ্গি দমনে সফল এটা সারা বিশ্বে স্বীকৃত। যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত এ জন্য প্রশংসা করেছে।
বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের উপস্থিতির পরিকল্পনা : বৈঠকে অংশ নেওয়া একাধিক নেতার সঙ্গে পরে কথা বলে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দলীয় নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি বিশিষ্টজন ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের উপস্থিতি বৃদ্ধির বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। প্রস্তাব এসেছে, দলের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা বিমানবন্দরের লাউঞ্জে প্রবেশ করবেন। সঙ্গে থাকবেন শিল্পী, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, কবি, সাংবাদিকসহ বিশিষ্টজেনরা। প্রধানমন্ত্রীর গণভবন যাত্রার পথে পথে ফুল, প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন, ব্যানার, নিয়ে শ্রদ্ধা জানাবে নেতা-কর্মীরা।

আগামীকাল বুধবার সকালে একই কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় নেতারা সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে যৌথ সভা করবেন। বিকেলে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আলাদা যৌথসভা কর্মসূচি রয়েছে মহানগর আওয়ামী লীগের। চূড়ান্ত প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ১ অক্টোবর ধানমন্ডি কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ যৌথসভা করবে। সেখানে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং ঢাকা মহানগর ও এর আশপাশের জেলার শীর্ষ নেতা এবং স্থানীয় সাংসদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.