সরকার ঢাকায় আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছেঃ রিজভী

0

সিটি নিউজ ডেস্কঃ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সিটি নির্বাচন উপলক্ষে সরকার ঢাকার দুই সিটিতেই আতঙ্ক সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে।

আজ বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, সিটি নির্বাচন উপলক্ষে সারা সিটিতে আতঙ্ক সৃষ্টি করার চেষ্টা হচ্ছে, এখন পর্যন্ত নির্বাচনের পরিবেশই তৈরী হয়নি, যাতে করে মানুষ ভোটকেন্দ্রে যায়। ইভিএম এর প্রতি যে মানুষের অনাস্থা ও অনাগ্রহ তা দেখা গেছে নির্বাচন কমিশন মসজিদের মাইক দিয়েও ইভিএম এর কার্যক্রম দেখাতে লোক খুঁজে পায়নি। মানুষ এটিকে প্রতারণার মেশিন বলেই মনে করছে।

নির্বাচন কমিশনারের বিষয়ে তিনি বলেন, নতুন এক নিলাজ, দলকানা, সেবাদাস প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদাকে জাতির কাধে চাপিয়ে দিয়েছে স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ। নুরুল হুদার আচার-আচরণ কাজ-কর্ম কথাবার্তায় মনে হয় তিনি নির্বাচন কমিশনের মতো সাংবিধানিক কোন পদে নয় বরং তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কোন পদে দায়িত্ব পালন করছেন। আর নির্বাচন কমিশনারকে লীগের অফিস দেয়া হয়েছে ইসি ভবনে।

রিজভী বলেন, বিএনপি বিএনপি বহিরাগত সন্ত্রাসীদের ঢাকায় জড়ো করছে, আওয়ামী নেতাদের এধরণের বক্তব্য প্রদানের উদ্দেশ্যই হলো-তারাই বৈধ ও অবৈধ অস্ত্রধারী দলীয় সন্ত্রাসীদের দিয়ে আসন্ন ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করতে চায়। গতকাল পর্যন্ত নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের হিড়িক চলছে। আপনারা দেখেছেন-তাপসের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণার সময় এমপি আমির হোসেন আমু সার্বক্ষণিক তার পাশেই ছিলেন।

তিনি তাপসের প্রধান নির্বাচনী এজেন্টও। এমপি শফিকুর রহমান প্রকাশ্যে আতিকের পক্ষে ভোট চেয়েছেন। প্রতিনিয়ত আওয়ামী লীগের এমপিরা প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন। তারা আবার এখন দলীয় নেতাকর্মী ও বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দিয়ে ভোট ডাকাতির ছক তৈরী করছেন-যার খবর ইতোমধ্যেই আমাদের কাছে এসেছে। তারপরেও সকল প্রতিকুলতা ও নীলনকশা উপেক্ষা করে জনগণ ভোট দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ভোটারদের প্রতি আহবান জানাই-নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে যান, নিজের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করুন, দু:শাসনের জবাব দিন।

তিনি বলেন, এদেশের ১৬ কোটি মানুষের প্রাণপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার আশঙ্কাজনক অবনতি ঘটেছে। অথচ অমানবিক ও প্রতিহিংসাপরায়ণ অবৈধ সরকার বেগম জিয়ার বিপদজনক অসুস্থতাও ভ্রুক্ষেপ করছে না। সরকারের এই অমানবিক ও অসুস্থ আচরণই প্রমান করে যে, তারা বেগম জিয়ার প্রাণনাশের ষড়যন্ত্র করছে। সরকারকে মনে রাখতে হবে বেগম খালেদা জিয়া কোন সাধারণ ব্যক্তি নন, তিনি চারবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। তিনি দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে আপোসহীন জননেত্রী। তাই জরুরী ভিত্তিতে দেশনেত্রীকে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দিন। আমরা আজই দেশনেত্রীর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.