বাঁশখালীর বেড়িবাধেঁর কাজ পরিদর্শন করলেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক
বাঁশখালী প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের বাঁশখালীর উপকূলীয় ছনুয়া ইউনিয়নে নির্মানধীন বেড়িবাঁধের কাজ পরিদর্শন করেছেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয সম্পর্কিত প্রতিমন্ত্রী কর্ণেল (অব:) জাহিদ ফারুক এমপি।
শুক্রবার সকালে বাঁশখালীর ছনুয়া ইউনিয়নে খুদুকখালী, শরীফিয়াপাড়া, ও নেভীঘাট এলাকায় বেড়িবাঁধ প্রকল্পের কাজ পরিদর্শনে করেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন বাঁশখালী সাংসদ আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এমপি, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মাহমুদুল হাসান, পানি উন্নয়ন বোডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা) মো. আমিনুল হক, চট্টগ্রামের প্রধান প্রকৌশলী মীর মোশারফ হোসেন, বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শিবেন্দু খাস্তগীর, বাঁশখালী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মু. রেজাউল করিম মজুমদার, বাঁশখালী পৌর মেয়র শেখ সেলিমুল হক চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল গফুর, নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বকর সিদ্দিক ভুঁইয়া, উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী প্রকাশন চাকমা, বাহারচড়া ইউপি চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম, ছনুয়া ইউপি চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ, ছনুয়া আওয়ামীলীগের সভাপতি জিল্লুল করিম শরীফি, সাধনপুর আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি কে.এম. সালাহ্উদ্দীন কামাল, যুবলীগ নেতা মো. হামিদউল্লাহ, ওলামালীগ সভাপতি আক্তার হোসেন, ছনুয়া আওয়ামীলীগ নেতা আলমগীর কবির সহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অন্যান্য দায়িত্বশীল কর্মকর্তাসহ বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও যুব ও মহিলালীগের নেতৃবৃন্দ সাথে ছিলেন।
বাঁশখালীর উপকূলীয় ছনুয়া বেড়িবাঁধের নির্মান কাজ পরিদর্শন সময় পানি সম্পদ মন্ত্রণালয সম্পর্কিত প্রতিমন্ত্রী কর্ণেল (অব:) জাহিদ ফারুক এমপি বলেন, বাশঁখালীর উপকুলীয় এলাকায় ঘুণিৃঝড় ও জলোচ্ছাসে ব্যাপক ক্ষতি হয় । এজন্য বাধ তৈরি করা হচ্ছে । কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে ছনুয়ায় বেড়িবাধঁ নির্মান করা হচ্ছে। বেড়িবাঁধের কাজ মান সম্মত হতে হবে। এ জন্য দায়িত্বরত সকলকে সঠিক ভাবে বাঁধ নির্মাণের নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন বাঁশখালীর ছনুয়ার এ কাজটি ২০১৫ সাল থেকে শুরু হয়েছে যথা সময়ে মাটি না পাওয়ার কারনে কাজ যথাসময়ে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। এবার বর্ষার আগেই কাজ শেষ হবে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বাধের কাজ দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য পাউবো কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে নির্দেশ দেন।
এ সময় বাঁশখালী আসনের সাংসদ আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এমপি বলেন, আমি ২০১৪ সালে প্রথমবার সাংসদ নির্বাচিত হই। ২০১৫ সালে বাঁশখালীর উপকূলীয় এলাকার জন্য বেড়িবাঁধ বরাদ্দ প্রদান করা হয়। সেই থেকে কাজ শুরু হয়ে বর্তমানে কাজ শেষ পর্যায়ে। বেড়িবাধেঁর কারনে বাশঁখালীর উপকুলীয় জনগন অনেক কষ্ট পেয়েছে, আমার নির্বাচনী ওয়াদা ছিল বেড়িবাধঁ নির্মান করা ।
গত বর্ষা মৌসুমে বাঁশখালীর মানুষ বাঁধের কারণে ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পেয়েছে। বাঁধের কাজ স্থায়ী ভাবে সম্পন্ন হলে সুফল পাবে উপকূলের মানুষ। ছনুয়া যাওয়ার পূর্বে পুঁইছড়ি ইউনিয়নের সরলিয়া বাজার থেকে পূর্ব পাহাড়ি এলাকা পর্যন্ত ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে বেড়িবাঁধ ও খাল খননের কার্যক্রম পরিদর্শনে যান তিনি। এ সময়ে খালের দু’পাশ হতে উচ্ছেদ হওয়া পরিবারের সদস্যরা মন্ত্রীর কাছে বিভিন্ন দাবি ও অভিযোগ পেশ করেন। পরে তিনি কুতুবদিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন।