প্রবাসীদের রেমিটেন্স দেশের অর্থনীতির হৃদপিন্ডকে সচল রাখছেঃ তৌহিদুল আলম

0

জুবায়ের সিদ্দিকীঃ দেশের স্বধীনতা আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধের হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গৌরবময় অবদান সম্পর্কে তরুণ প্রজন্মের মাঝে সচেতনতা তৈরীর লক্ষ্যে মুজিববর্ষ পালন করা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু তার রাজনৈতিক জীবনে যে পরিমান জেল-জুলুম অত্যাচার সহ্য করেছেন সেসব সম্পর্কে বর্তমান প্রজন্মের জানা দরকার।

একথাগুলো বলেছেন, সালতানাত অব ওমানের বাংলাদেশ যুবলীগের আহ্বায়ক এম তৌহিদুল আলম তৌহিদ।

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির সন্তান তৌহিদ একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ওমানে। প্রায় ১৫ বছর ধরে বসবাস করছেন ওমানে। ফটিকছড়িতে ’৮০ ও ’৯০ দশকে ছাত্র রজানীতির সাথে তিনি জড়িত ছিলেন। চট্টগ্রামে কারা-পরিদর্শক ও লায়নিজমে প্রশংসীত সংগঠক তৌহিদ লায়ন্স ক্লাব অব চিটাগাং ফটিকছড়ি, ৩১৫ বি-৪ বাংলাদেশ এর সাথে জড়িত ও ওমানে একটি ধর্মীয় সংগঠনের সাথে সংযুক্ত তৌহিদ একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেন, ওমানে বাংলাদেশের শ্রমবাজার সন্তোষজনক পর্যায়ে আছে। প্রবাসী শ্রমিকেরা অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে কাজ করে ইতিমধ্যে প্রশংসীত হয়েছে। অদুর ভবিষ্যতে শ্রমবাজারের পরিধি বাড়বে ও মানুষের কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে। ওমানের সাথে বাংলাদেশ সরকারের চমৎকার সুসম্পর্ক রয়েছে। যার ফলে বাংলাদেশী কমিউনিটি ভাল অবস্থানে সুনামের সাথে কর্মরত আছেন।

বিশিষ্ট সমাজসেবক ও রাজনীতিবিদ তৌহিদ বলেন, দেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে সুখী ও সমৃদ্ধির পথে। বঙ্গবন্ধুর একজন সৈনিক হিসেবে বহিঃবিশ্বের যেখানেই থাকি না কেন দেশের উন্নয়ন ও অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে আমাদের পাঠানো রেমিটেন্স দেশের অর্থনীতির হৃদপিন্ডকে সচল রাখে। সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডকে এগিয়ে নিতে প্রবাসীরাও ভূমিকা রাখছে। প্রবাসে আমরা বাংলাদেশী কর্মরত ভাইয়ে সহযোগীতা করাও দেশপ্রেমের একটি অংশ। আমরা সেটা করছি।

তৌহিদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর সৈনিকরা যেখানে থাকবে সেখানে তার আদর্শকে বুকে ধারণ করে দেশের মানুষ ও দেশকে ভালবেসে রাষ্ট্রের সুনাম বৃদ্ধিতে কাজ করবে এটাই স্বাভাবিক। দেশের যে উন্নয়নযজ্ঞ হচ্ছে তা প্রবাসীদের মধ্যে জানান দেওয়ার একজন বঙ্গবন্ধুর সৈনিক হিসেবে আমার কর্তব্য। প্রবাসে আমরা ঘরোয়া পরিবেশে রাজনীতি করি। সে দেশের আইনকানুন মেনে চলতে হয়। আমরা ওমানের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে কর্মজীবন বা সাংগঠনিক কর্মকান্ড পরিচালিত করে থাকি। আমি মনে করি, রাজনীতি হচ্ছে মানুষের কল্যাণে ও দেশের উন্নয়নে কাজ করা।

বিশিষ্ট সংগঠক তৌহিদ বলেন, দেশ থেকে যখন কোন শ্রমিক বা কর্মচারী ওমানে যায় তখন আইন কানুন অবগত হতে না পারায় সমস্যায় পড়ে। আমি কনে করি, মধ্যপ্রাচ্যে শ্রমিক পাঠানোর সময় সে দেশের আইন কানুন সম্পর্কে অবগত করিয়ে পাঠানো উচিত। যদি কোন প্রবাসী কোন সমস্যায় বা বিড়ম্বনায় পড়ে তখন দেশের ভাবমূর্তি বিনষ্ট হয়। একজন প্রবাসী দেশের পাতাকা বহন করে তার আচার-আচরণে। সে লক্ষ্যে প্রবাসীদের উচিত দেশের ভাবমূর্তি ও ওমানের আইন কানুন যথাযথভাবে মেনে চলা। মাননীয় প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশের ক্রমবর্ধমান উন্নয়নের সুফল এখন দেশবাসী দৃশ্যমান দেখছে। দেশে প্রচুর উন্নয়ন কর্মকান্ডে সাধারণ মানুষ খুশি রয়েছে।

বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকারের টানা তিন মেয়াদে বয়স্কভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, প্রতিবন্ধি ভাতা, বিধবা ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা চালু করেছেন। দেশের নিজস্ব অর্থে পদ্মা সেতু নির্মাণ হচ্ছে। সরকারের এসব সফলতায় আমরা প্রবাসীরা গর্বিত ও আনন্দিত। দেশের যে কোন দুর্যোগ বা সংকটে আমরা প্রবাসীরা দেশবাসীর পাশে ছিলাম ও থাকব ইনশল্লাহ।

বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ এম তৌহিদুল আলম তৌহিদ বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ ওমান কেন্দ্রীয় কমিটি ছাড়াও রয়েছেন বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ক্রীড় ও ধর্মীয় সংগঠনের সাথে যুক্ত। একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, রাজনীতি হলো এমন কিছু রাষ্ট্রের নীতি বা বিধি বিধান, যে বিধান রাষ্ট্রের বা জনগণের কল্যাণে নিয়োজিত থাকে। যে নীতি প্রয়োগ করলে একটি দেশের সচেতনতামূলক কার্য-সম্পাদন করা যায়। এ জন্যই রাজনীতি করা।

আমি মনে করি, দেশের কাছে কিছু চাওয়ার আগে দেশকে আপনি কি দিয়েছেন তা বিচার করুন। রাজনীতি হলো দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করা। বাংলাদেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশ। উন্নত হতে চলেছে দেশ। গত ১০ বছরে আমাদের মাথাপিছু আয় বেড়েছে ১০৬ ভাগ। দশ বছরে আমাদের প্রবৃদ্ধির গড় ৬.৮৮ যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। দেশে দারিদ্র কমেছে প্রায় ১১ ভাগ। গড় আয়ু বেড়েছে। খাদ্য উৎপাদনে এখন আমরা স্বাবলম্বী। বাংলাদেশের ও অসীম উন্নয়ন, মহা কর্মকান্ড অর্থবহ হবেনা যদি সমাজ থেকে দুর্নীতি ও নৈরাজ্য দূর না হয়। আমরা প্রত্যাশা করব, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ আরো এগিয়ে যাবে। সকল অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে সরকার আরো কঠোর হবেন বলে আমার বিশ্বাস।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.