বিদ্যুতের ভেলকিবাজিতে অতিষ্ঠ চট্রগ্রামবাসী

0

সিটিনিউজবিডি : বন্দরনগরী চট্টগ্রামে বিদ্যুতের ভেলকিবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে নগরবাসী। নগরীর প্রায় প্রতিটি এলাকায় কমবেশি লোডশেডিং হলেও বাকলিয়া, পাঁচলাইশ. মুরাদপুর, হালিশহর, ছোট পুল, বড় পুল, সিডিএসহ বেশকিছু এলাকায় এর মাত্রা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।

নগরবাসীর অভিযোগ, দৈনিক ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা করে লোডশেডিং হচ্ছে। কিন্তু এ অভিযোগ মানতে নারাজ পিডিবির কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, নগরীতে এখন কোন লোডশেডিং নেই। কোরবানের ঈদের আগে কিছুটা লোডশেডিং থাকলেও এখন স্বাভাবিক রয়েছে। কিছু গ্রাহক কয়েক মিনিটের লোডশেডিংকে অতিরঞ্জিত করছে।

নগরবাসী বলছেন, কখনো নিয়মিত লোডশেডিং আবার কখনো লাইন মেরামতের নামে লোডশেডিং হচ্ছে। এতে একদিকে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার ব্যঘাত ঘটছে। অন্যদিকে, গৃহস্থলী কাজ করতেও বিভিন্ন ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে। এছাড়া, ধারাবাহিক লোডশেডিংয়ে এলাকার ক্ষুদ্র দোকানদার ও ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।

বাকলিয়া বড়মিয়া মসজিদ এলাকার বাসিন্দা বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ’র শিক্ষার্থী মালিহা আফিফা বলেন, ‘বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত একটার থেকে বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) সকাল আটটা পর্যন্ত বিদ্যুৎ ছিল না। এছাড়া সকাল আটটার পর তিন চারবার বিদ্যুৎ আসা যাওয়া করেছে। শুধু কালকে নয়, অধিকাংশ সময়ে এ ধরণের ঘটনা ঘটে। ’

২ নম্বর গেইট এলাকার একটি গ্রিল ওয়ার্কশপের মালিক আবদুল জলিল বলেন, ‘দূর্বিষহ অবস্থার মধ্যে আমাদের দিন কাটছে। বিদ্যুতের যন্ত্রণায় প্রায় ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ার অবস্থা। প্রতিদিন বেশ কয়েক ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। আর কিছুক্ষণ পর পর বিদ্যুতের ভেলকিবাজিতো আছেই। ’

শুলকবহর এলাকার বাসিন্দা সজীব দাশ বলেন, ‘রাতের বেলায় কিছুক্ষণ পর পর বিদ্যুতের আসা যাওয়ায় জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এর ফলে পড়ালেখার ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। ’

আলফালাহ গলির বাসিন্দা আনিসুর রহমান বলেন, ‘গত কয়েকদিন বিদ্যুতের আসা যাওয়া পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বারবার বিদ্যুৎ আসা যাওয়ার ফলে ফ্রিজসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ’

গোসাইলডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা চিনু দে বলেন, ‘গোসাইলডাঙ্গা এলাকায় বিদ্যুত সমস্যার কথা সবার জানা। তবে গত কয়েকদিন ধরে সেই সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করছে। দিনে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টার লোডশেডিং এর পাশাপাশি বিদ্যুতের ভেলকিবাজি দুর্ভোগকে বৃদ্ধি করেছে।

গ্রাহকদের অভিযোগের বিষয়ে পিডিবির চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী আজহারুল ইসলাম জানান, চট্টগ্রাম নগরীতে প্রায় ৭৫০ থেকে ৮০০ মেগাওয়াট চাহিদা রয়েছে। গরম বাড়লে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে যায়। ঈদের আগে নগরীতে কিছুটা লোডশেডিং ছিল। কিন্তু বর্তমানে নগরবাসীকে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা দেওয়া হচ্ছে। লোডশেডিং এর বিষয়টি সত্য নয়।

তিনি বলেন, ‘দুই একটি এলাকায় বিচ্ছিন্নভাবে লোডশেডিং হলেও সেটি মেরামত কাজের কারণে। তবে সেটি ক্ষণস্থায়ী। ’

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.