অবৈধ ভারতীয় রুপি: মামলার তদন্তভার সিআইডিতে

0

সিটিনিউজবিডি : চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে অবৈধভাবে ভারতীয় রুপি আনার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার তদন্তভার পেয়েছে সিআইডি। বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) থেকে সিআইডি আনুষ্ঠানিকভাবে এ মামলার তদন্ত শুরু করছে।

সংস্থাটির অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক চাঞ্চল্যকর এ মামলাটির তদন্তভার সিআইডিতে হস্তান্তরের জন্য পুলিশ সদর দপ্তরে চিঠি দিয়েছিলেন। পুলিশ সদর দপ্তর থেকে মামলা সিআইডিকে হস্তান্তরের নির্দেশ দেয়া হয়েছে সিএমপিকে।

মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছেন সিআইডির বিশেষায়িত ইউনিট অর্গানাইজড ক্রাইম সেকশনের সাইবার ক্রাইম স্কোয়াডের পরিদর্শক লিটন দেওয়ান। তিনি সন্ধ্যায় মামলার নথিপত্র বন্দর থানার তদন্ত কর্মকর্তার কাছ থেকে বুঝে নেবেন বলে জানিয়েছেন।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) দেবদাস ভট্টাচার্য বলেন, সিআইডি মামলা তদন্তের আগ্রহ দেখিয়ে চিঠি দিয়েছিল। নিয়ম অনুযায়ী আমরা তদন্তভার তাদের কাছে হস্তান্তর করেছি।

সিআইডির বিশেষায়িত ইউনিট অর্গানাইজড ক্রাইম সেকশনের স্পেশাল পুলিশ সুপার (এসএসপি) মির্জা আবদুল্লাহেল বাকি মামলার নথিপত্র হস্তান্তরের জন্য বন্দর থানার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই জহির হোসেনকে নির্দেশ দিয়েছেন। বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এ সংক্রান্ত চিঠি বন্দর থানায় পৌঁছেছে।

বন্দর থানার এস আই জহির হোসেন বলেন, সিআইডির তদন্ত কর্মকর্তা নথিপত্র বুঝে নেয়ার জন্য আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। সন্ধ্যায় তাকে মামলার এজাহারসহ রেকর্ডপত্র দেব।

সিআইডির পরিদর্শক লিটন দেওয়ান বলেন, মামলার নথিপত্র আজ (বৃহস্পতিবার) পাব। তারপর তদন্ত শুরু করব।

বন্দর রুপি আনার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বন্দর থানার এস আই জহির হোসেনের আবেদনের প্রেক্ষিতে ২৯ সেপ্টেম্বর আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তবে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেননি এস আই জহির হোসেন।

‘মামলা সিআইডিতে চলে যাবে বলে শুনেছিলাম। সেজন্য আমরা রিমান্ডে নিইনি। আদালতে আদেশ যেহেতু আছে, সিআইডি নিতে পারবে। ’ বলেন জহির।

গৃহস্থালী পণ্য ঘোষণা দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে আনা একটি কন্টেইনারের চারটি কার্টনে ভারতীয় রুপি পাওয়ায় রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে সেটি আটক করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর।

সোমবার বেলা ১২টা থেকে শুরু করে রাত ৮টায় গণনা শেষ হয়। এতে ২ কোটি ৭১ লাখ ৭৬ হাজার ৫০০ ভারতীয় রুপি পাওয়া যায়। এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) নগরীর বন্দর থানায় শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা বিধান কুমার সরকার বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।

এতে ছয়জনকে আসামী করা হয়। তারা হলেন- দুবাই থেকে আসা চালান খালাসের দায়িত্বে থাকা সিএন্ডএফ প্রতিষ্ঠান ফ্ল্যাশ ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারম্যান শামীমুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসাদউল্লাহ, ব্যবসায়ীক অংশিদার আহমদ উল্লাহ, কাস্টমস গোয়েন্দা বিভাগের টি বয় মোহাম্মদ ছাবের, চালানটির মালিক শাহেদুজ্জামান ও তার ছোট ভাই তৌহিদুল আলম।

এদের মধ্যে ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসাদউল্লাহ যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামী মো.মোবারক হোসেন ওরফে মোবারক আলীর ছেলে।

আসামিদের মধ্যে শাহেদুজ্জামান পলাতক আছেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.