শিক্ষাঙ্গণ : পাঁচ দফা দাবিতে প্রধান শিক্ষকের চেয়ার বর্জন করে কালো কাপড়ে ঢেকে দিয়ে শিক্ষার্থীদের চেয়ারে বসেই পাঠদান করে প্রতিবাদি কর্মসূচি পালন করছেন চট্টগ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে চট্টগ্রামসহ সারাদেশের সকরারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের চেয়ার মুড়ে দেওয়া হয়েছে কালো কাপড়ে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের গেজেটেড কর্মকর্তার পদমর্যাদা বাস্তবায়ন ও প্রবেশ পদে জাতীয় বেতন স্কেল ১০ম গ্রেডে অন্তর্ভুক্তিকরণসহ সরকারের কাছে ৫ দফা দাবিতে লাগাতার কর্মশুচির অংশ হিসেবে এই প্রতিকী প্রতিবাদ করেছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা।
গত সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছিল ‘বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতি’।
বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতি চট্টগ্রাম জেলা শাখার আহ্বায়ক কাইছারুল আলম বলেন, ‘আজ (বৃহস্পতিবার) থেকে ৫ দফা দাবিতে লাগাতার কর্মশুচির শুরু হয়েছে। এই উপলক্ষে চট্টগ্রামের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের চেয়ার কালো কাপড়ে মুড়ে দেওয়া হয়েছে। প্রধান শিক্ষকরা ওই চেয়ারের বদলে সাধারন শিক্ষকদের চেয়ারে বসে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চালাচ্ছেন।’
কাইছারুল আলম আরো বলেন, ‘দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আজ (১ অক্টোবর) থেকে ১০ অক্টোবর প্রধান শিক্ষকের চেয়ার কালো কাপড়ে ঢেকে দেয়ার মাধ্যমে চেয়ার বর্জন কর্মসূচী চলবে, ৩ অক্টোবর থেকে ৫ অক্টোবর সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত ৩ ঘণ্টার কর্মবিরতি ও ৬ অক্টোবর থেকে লাগাতার পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে। দাবি আদায় না হলে নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় প্রাথমিক সমাপণী পরীক্ষার দায়িত্ব বর্জনের মত কঠোর কর্মসূচী আসতে পারে।’
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের সভাপতি নুরুল হুদা বলেন, ‘২০১৪ সালের ১৪ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদেরকে তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী পদমর্যাদা থেকে দ্বিতীয় শ্রেণীর গেজেটেড কর্মকর্তা হিসেবে উন্নীত করার ঘোষণা দেন। এতে প্রধান শিক্ষকরা দ্বিতীয় শ্রেণীর গেজেটেড কর্মকর্তার পদমর্যাদা পান। কিন্তু এক বছর পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও দ্বিতীয় শ্রেণীর মর্যাদাপ্রাপ্ত অন্যান্য সরকারি কমকর্তাদের মত বেতন কাঠামো দেয়া হয়নি। এক্ষেত্রে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন।’