পশ্চিম চর-বরমা গাউছিয়া তৈয়্যবিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসার সালানা জলসা অনুষ্ঠিত

0

সিটি নিউজ ডেস্ক :  চন্দনাইশ উপজেলা বরমা ইউনিয়নে আলহাজ্ব মোহাম্মদ শের আলী খান প্রতিষ্ঠিত, আন্জুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট কর্তৃক পরিচালিত পশ্চিম চর-বরমা গাউসিয়া তৈয়্যবিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসা ও হাজী মফজল-রওশন হেফজখানা-এতিম খানার সালনা জলসা ও পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নী (দ.) গত রবিবার( ৮ মার্চ) দিনব্যাপী মাদ্রাসা মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। জলসায় খতমে কোরআন, খতমে গাউছিয়া শরীফ, খতমে খাজে গান ও ধর্মীয় আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

জলসায় প্রথম অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম-১৪ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম চৌধুরী। জাবেদ মুহাম্মদ গউচ মিল্টনের সভাপতিত্বে প্রথম অধিবেশনে উদ্বোধক ছিলেন ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ সদস্য আলহাজ্ব আবু আহমদ জুনু।

দ্বিতীয় অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব মুহাম্মদ শের আলী খান। প্রধান অতিথি ছিলেন আঞ্জুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের সদস্য আলহাজ্ব মুহাম্মদ কমর উদ্দিন সবুর।

উদ্বোধক ছিলেন প্রবীন আলেমেদ্বীন অধ্যক্ষ আল্লামা শাহ খলিলুর রহমান নিজামী। হাজী মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম ও মাওলানা মুহাম্মদ মামুন উদ্দিন সিদ্দিকীর যৌথ সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম।

সভায় বক্তারা বলেন, আচরণে ও কর্মে ইতিবাচক পরিবর্তন ও উন্নয়ন সাধনই শিক্ষার উদ্দেশ্য। নৈতিক শিক্ষার সঙ্গে যেসব বিষয় সরাসরি সম্পর্কিত সেগুলো হলো সুশাসন, ন্যায়বিচার, মানবাধিকার, দুর্নীতি দমন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, প্রবৃদ্ধি, শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা ইত্যাদি। আচরণে অভিষ্ট ইতিবাচক পরিবর্তন ও উন্নয়ন সাধনের জন্য নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে তথ্য প্রদান বা জ্ঞান দান করাকে শিক্ষা বলে। আর ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার জন্য মাদ্রাসা শিক্ষার বিকল্প নাই। বর্তমানে বস্তুবাদী শিক্ষা ও আর্থসামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয় আমাদের সমাজকে করেছে কলুষিত, জাতিকে করেছে কলঙ্কিত, দেশকে করেছে প্রশ্নবিদ্ধ। এ পরি¯ি’তিতে ইসলামের সঠিক ব্যাখ্যা জানা, অবক্ষয়পীড়িত সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা, দেশপ্রেম জাগ্রত সুনাগরিক তৈরির জন্য মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যব¯’া অনন্য ভূমিকা রাখছে। বক্তারা আরও বলেন, জঙ্গীবাদ-সন্ত্রাসবাদ বর্তমানে বৈশ্বিক সমস্যা। নৈতিক শিক্ষার মাধ্যমে ধর্মের সঠিক ব্যাখ্যা ও চর্চাই পারে তরুণ প্রজন্মকে জঙ্গীবাদ-সন্ত্রাসবাদ ও মাদক থেকে দূরে রাখতে।

সভায় প্রধান ওয়ায়েজ ছিলেন আল্লামা শায়খ সৈয়দ হাসান আল আজহারী। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা মুহাম্মদ সোলায়মান ফারুকী, ইপশার সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ শহীদুল ইসলাম মিয়াজী, মুহাম্মদ হাবিব উল্লাহ মাস্টার, মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান, নুর মোহাম্মদ, মাওলানা আব্দুল মান্নান চৌধুরী, শহীদুল ইসলাম সুমন, শহীদুল আলম জনি, মোঃ মহিউদ্দিন, মোঃ ইউসুফ, এডভোকেট মোজাম্মেল হক ফারুকী, মোস্তাফিজুর রহমান মেম্বার, শাহ আলম মেম্বার, মাস্টার মুহাম্মদ বদিউল আলম, মোঃ আলমগীর ইসলাম বঈদী।

উপস্থিত ছিলেন মোজাম্মেল হক তালুকদার, ফরিদুল আলম তৌহিদ, আবুল কালাম আজাদ, জাহাঙ্গীর আলম, বাবুল কন্ট্রাক্টর, আবু তাহের, মাওলানা আব্দুল মতিন, নাসির উদ্দিন, ডা. শাহ আলম, মোর্শেদুল আলম সিকদার টিপু, জসিম উদ্দিন সাগর, শহীদুল আলম জনি, মাওলানা সাইফুদ্দীন আলকাদেরী, মাওলানা কমরুদ্দীন নুরী, মাওলানা হাফেজ আলাউদ্দিন, মাওলানা মাহবুবুল আলম আলকাদেরী, মাস্টার মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, রহিমা বেগম, শামিয়াত কামাল ইনা, খাতিজা বেগম প্রীতি প্রমুখ।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.