খুচরা বাজারে সবজির দাম চড়া

0

সিটিনিউজবিডি : ঈদুল আযহার পর মানুষ এখনো শহরমুখি হচ্ছে তাই বাজারে ক্রেতা কম তবুও চড়া সবজির বাজার। সবজির সরবরাহ কম এমন অযুহাতে সব ধরনের সবজির বিক্রি হচ্ছে দুই গুণ দামে। অথচ ঈদুল আযহার পর স্বাভাবিক ভাবেই সবজির দাম কমার কথা ছিল। কেননা এসময় বাজারে সবজির চাহিদা যেকোন সময়ের তুলনায় কম হয়ে থাকে। শুক্রবার নগরীর সবজির বৃহত্তর পাইকারি বাজার রিয়াজউদ্দিন বাজার ও কাজির দেউড়ি বাজার ঘুরে এ চিত্র পাওয়া গেছে।

শুক্রবার চট্টগ্রাম নগরীর বড় কাঁচাবাজার রিয়াজউদ্দিন বাজারে সরেজমিনে দেখা যায়, বেগুন, বরবটি, করলা, শিম, ঢেড়শ ও ঝিঙেসহ প্রায় সব সবজিরই দাম বেড়েছে। বিশেষ করে কাঁচা মরিচ আর টমেটোর দাম বেড়েছে বেশি। দেশি কাঁচা মরিচ বিক্রয় হচ্ছে প্রতি কেজি ২০০ টাকা থেকে ২২০ টাকা। আর ভারতীয় কাঁচা মরিচ বিক্রয় হচ্ছে ১৪০ টাকা থেকে ১৬০ টাকা দরে।

এছাড়া ফ্রিজের টমেটো ১৪০ টাকা আর সরাসরি ক্ষেত থেকে নিয়ে আসা টমেটো ১৭০ টাকা দামে বিক্রয় হচ্ছে। ঝিঙা ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ থেকে ৬৫ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, বাধাঁকপি ৬০ টাকা, কাকরোল ৭০ টাকা, ললিতা আলু ২৬ টাকা আর দেশি আলু ৩৬ টাকা, তিতকরলা ৫০ থেকে ৬০টাকা, আর বরবটি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ধনে পাতা ২০৫ থেকে ২২০ টাকা, গাজর ১৪০ টাকায় বিক্রয় হচ্ছে।

খুচরা সবজি বিক্রেতা মো. আলম জানান, ‘মূলত ঈদের পর সবজির ট্রাক না আসায় সবজিসহ সব ধরনের দাম এখন বাড়তি। তবে সরবরাহ বৃদ্ধি পেলে দাম এমনিতে কমে যাবে। চাহিদা আছে কিন্তু সে তুলনায় আমাদের সবজি নেই, আগের যা ছিল তাই বিক্রয় করছি। তাই সবজির দাম এখন বাড়তি।’

তবে ঈদের আগে বাড়তি দামে বিক্রি হওয়া পেঁয়াজ, রসূন, আদাসহ সব ধরনের মশলার দাম কমতির দিকে। মানভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০-৬৫ টাকায়। এর মধ্যে প্রতি কেজি ভারতের (নাসিক) পেঁয়াজ ৬০-৬৫, সাউথ ৫০-৫৫, পাকিস্তানি ৪৮-৫০ এবং মিয়ানমারের পেঁয়াজ ৪০-৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ঈদের আগে একই পরিমাণ ভারতের (নাসিক) পেঁয়াজ ৬৫-৭০, সাউথ ৬০-৬৫, পাকিস্তানি ৫০-৫৩ এবং মিয়ানমারের পেঁয়াজ ৪৫-৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.