চট্টগ্রামকে জলাবদ্ধতামুক্ত আধুনিক নগরীতে পরিণত করা হবেঃ রেজাউল
সিটি নিউজঃ আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ দলীয় মেয়র প্রার্থী এম. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এবং চট্টগ্রামকে জলাবদ্ধতামুক্ত পরিকল্পিত আধুনিক নগরীতে পরিণত করার প্রত্যয় নিয়ে আমি নাগরিকদের কাছে ভোট প্রার্থনা করছি।
আমার বিশ্বাস, চট্টগ্রামের নাগরিক সমাজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আকাক্ষা অনুযায়ী চট্টগ্রামকে মেগা সিটিতে পরিণত করতে নৌকা প্রতীকে স্বতঃস্ফুর্তভাবে ভোট দিয়ে বিজয়ী করবেন। সর্বোপরি আমি মেয়র নির্বাচিত হলে চট্টগ্রামের উন্নয়নের সাথে সংশ্লিষ্ট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে সকলের মতামত নিয়ে চট্টগ্রাম নগরীকে নাগরিক সমাজের বাসযোগ্য করে গড়ে তুলবো।
তিনি আজ বুধবার ১১ মার্চ দুপুরে নগরীর কে সি দে রোডস্থ প্রধান নির্বাচনী কার্য্যলয় থেকে নেতাকর্মীদের সাথে ৪ নং চান্দগাঁও, ৫ নং মোহরা ও ৬ নং পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ডে গণসংযোগকালে এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম জাতীয় অর্থনীতির হৃদপি-। চট্টগ্রাম বন্দর পৃথিবীর অন্যতম প্রাকৃতিক বন্দর। এ বন্দর দিয়েই জাতীয় আয়ের ৮০ ভাগেরই বেশি অর্জিত হয়। ভুটান, নেপালসহ ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের সাতটি রাজ্যে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ট্রানজিট সুবিধা প্রধান করা হলে হাজার হাজার কোটি আয় হবে। এর ফলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আরাধ্য সোনার বাংলা রূপান্তিত হবে এবং এর বীজ বোপিত হবে এ চট্টগ্রাম থেকেই।
২০০৮ সালে লালদীঘি ময়দানে নির্বাচনী জনসভায় জননেত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের উন্নয়নের দায়িত্ব নিজের কাঁেধ নিয়েছেন, তিনি সেই কথা রেখেছেন। চট্টগ্রামের উন্নয়নের জন্য ৩০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছেন। এছাড়াও আছে বড় বড় মেগা প্রকল্প গ্রহন করেছেন। এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় চট্টগ্রাম নগরী হবে আর্ন্তজাতিক মানের নগরীতে রূপান্তিত হবে। কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে টানেল নির্মাণের কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।
এ ধরণের একাধিক মেগা প্রকল্পের কাজ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনসহ অনান্য সেবা সংস্থাগুলো বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে নগরবাসীকে সাময়িক কষ্ট পেতে হলেও একদিন তারা এ প্রকল্পগুলোর সুফল ভোগ করবেন। চট্টগ্রামবাসীর আকাঙ্খা পূরণ ও সমৃদ্ধির অর্জনে তাদেরকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপগহার দিবেন। রাজনীতি কখনো অর্থবিত্ত বা পেশা হতে পারে না। রাজনীতি হতে হবে গণ কল্যাণমুখী। এ চেতনাকে আমি ধারণ করে চট্টগ্রাম নগরবাসীর কর্তব্যনিষ্ঠ সেবক হতে চাই।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও সাবেক সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে বিএনপি নানা রকম অপপ্রচার চালাচ্ছে, তারা জনগণের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। তাদের এ অপ্রপ্রচার ও বিভ্রান্তির সমুচিত জবাব ভোটের দিন দিতে হবে। মনে রাখতে হবে তাদের মধ্যে জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা ও দেশপ্রেমের অভাব রয়েছে। তাই তারা বিপদগামী, এরা একদিন সাত মার্চের ভাষণ ও জয় বাংলা স্লোগান নিষিদ্ধ করেছিল। উচ্চ আদালতের রায়ে জয় বাংলা আজ জাতীয় স্লোগাণে পরিণত হয়েছে। ৭ মার্চের ভাষণ জাতি সংঘের ইউনুস্কো কর্তৃক প্রামাণ্য দালিলিক ঐতিহ্য হিসাবে স্বীকৃত পেয়েছে।
এসময় তার সাথে ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবু তাহের, মহিলা সম্পাদিকা জোবাইরা নার্গিস খান, চান্দগাঁও থানার আহবায়ক আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম, চান্দঁগাঁও ওয়ার্ডের নুর মোহাম্মদ নুরু, এডভোকেট আইয়ুব খান, সাইফুদ্দীন খালেদ সাইফু, নিজাম উদ্দীন নিজু, সাবেক আরশাদুল আলম বাচ্চু, মোহরা ওয়ার্ডের মো. রফিকুল আলম, নাজিম উদ্দীন চৌধুরী, মো. জসিম উদ্দীন, খালেদ হোসেন খান, কাজী নুরুল আমিন, পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ডের মো. শামসুল আলম, এম আশরাফুল আলমসহ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, শ্রমিকলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাসহ মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের বিভিন্ন রাজনৈতিক শক্তির নেতাকর্মীরা গণসংযোগে অংশ নেন।