ড. কামালকে ২ সপ্তাহের সময় দিলেন

0

 সিটি নিউজ ডেস্কঃ গণফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও আহ্বায়ক কমিটির সভাপতি ড. কামাল হোসেনকে ২ সপ্তাহের সময় বেঁধে দিয়েছেন দলটির আহ্বায়ক কমিটি থেকে বাদ পড়া নেতারা।

সদ্য ভেঙে দেওয়া ওই কমিটির নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক আবু সাইয়িদ বলেছেন, আমরা গণফোরামের দীর্ঘদিনের মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মী হিসেবে জাতীয় শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনকে আহ্বান জানাচ্ছি, অনতিবিলম্বে দলের প্রবীণ নেতাদের সঙ্গে পরামর্শ করে দলকে ভাঙনের হাত থেকে রক্ষায় ও দলীয় ঐক্য রক্ষায় উদ্যোগ নিন। এজন্য আপনাকে দুই সপ্তাহের সময় দেওয়া হলো।

আজ শনিবার (১৪ মার্চ) বিকালে রাজধানীর মতিঝিল গণফোরামের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

আবু সাইয়িদ বলেন, ‘আজ আমরা গণফোরামের জেলা নেতৃবৃন্দকে নিয়ে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির বর্ধিত সভা করেছি। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এখন থেকে দলীয় ঐক্য রক্ষায় ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় জন্য মুখপাত্র হিসেবে অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী দায়িত্ব পালন করবেন।’

প্রসঙ্গত, গত ৩ মার্চ ভেঙে দেওয়া কমিটির নির্বাহী সভাপতি ছিলেন সুব্রত চৌধুরীও। আবু সাইয়িদ বলেন, ‘ড. কামালকে সামনে রেখে উচ্চবিলাসী ও কুচক্রী মহল দলে ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থে অপচেষ্টা চালাচ্ছে। বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে ১০ মাস কেন্দ্রীয় কমিটির সভা আহ্বান করেনি। ফলে দলের মধ্যে বহিষ্কার, পাল্টা-বহিষ্কারের ঘটনা ঘটেছে।’

আজকের বর্ধিত সভায় কত জেলার প্রতিনিধি উপস্থিত আছেন, সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ভেঙে দেওয়া কমিটির সদস্য ও দলটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু বলেন, একদিনের নোটিশে আজকের সভায় ১২টি জেলার প্রতিনিধি উপস্থিত হয়েছেন।
আপনাদের দেওয়ার ২ সপ্তাহের মধ্যে ড. কামাল উদ্যোগ না নিলে কি নতুন দল করবেন, সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্টু বলেন, সেটা এখন বলতে পারবো না। সময় ও পরিস্থিতি ওপর নির্ভর করে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো। আজকের সভা দুই সপ্তাহের জন্য মুলতবি করা হয়েছে। দুই সপ্তাহে পরে এখানেই সভা করে আমরা সিদ্ধান্ত জানাবো।

ড. কামাল ও রেজা কিবরিয়ার নেতৃত্বে গণফোরামের আহ্বায়ক কমিটিকে অগণতান্ত্রিক দাবি করে মন্টু বলেন, দলের মধ্যে কোনও আলোচনা না করেই কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। আর যে আহ্বায়ক কমিটি হয়েছে, সেটাও অগণতান্ত্রিক উপায়ে হয়েছে।

আহ্বায়ক কমিটির সাধারণ সম্পাদক রেজা কিবরিয়া দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ দাবি করে মন্টু আরও বলেন, ‘তিনি দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম গতিশীল করার পরিবর্তে দলে অভ্যন্তরীণ কোন্দল সৃষ্টি করেছেন।

অভিযোগ আছে আপনি গণফোরাম ভেঙে দিয়ে নাকি আবার সক্রিয় হয়েছেন। এর জবাবে মন্টু বলেন, ‘মাঝখানে পারিবারিক ও অসুস্থার কারণে কিছুদিন রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলাম না। কিন্তু এই দলের একজন নেতা হিসেবে যখন দলের ভাঙন ধরে তখন আমি আর ঘরে বসে থাকতে পারি না।’ এসময় তিনি করোনা ভাইরাসের কারণে স্কুল-কলেজ বন্ধের দাবি জানান।

সংসাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ভেঙে দেওয়া কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য জগলুল হায়দার আফ্রিক, সাংগঠনিক সম্পাদক লতিফুল বারী হামিম প্রমুখ।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.