চট্টগ্রামে বিদেশি নাগরিকদের তালিকা সংগ্রহ, সিএমপির

0

চট্টগ্রাম অফিস : ইতালি ও জাপানের দুই নাগরিককে হত্যার পর চট্টগ্রামে অবস্থানরত বিদেশি নাগরিকদের তালিকা সংগ্রহ শুরু করেছে নগর পুলিশ।

বিদেশিদের প্রবেশের ক্ষেত্রে নগর পুলিশের বিশেষ শাখাকে অবহিত করা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।  আবাসিক হোটেলগুলোকে বিদেশি নাগরিকদের অবস্থানের বিষয়ে নিয়মিত তথ্য দিতে বলেছে সিএমপি।

২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ইতালিয় নাগরিক চেজারে তাভেল্লাকে গুলি করে হত্যার পর চট্টগ্রামে বিদেশিদের নিরাপত্তা জোরদারে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয় পুলিশ।  এরপর শনিবার (০৩ অক্টোবর) রংপুরে জাপানি নাগরিক ওসি কনিওকে হত্যার পর চট্টগ্রামে অবস্থানরত বিদেশিদের নিরাপত্তা দেয়াকে এখন চ্যালেঞ্জ মনে করছে নগর পুলিশ।

তবে প্রথাগত নিরাপত্তার চেয়েও ভিন্ন কৌশলে এগুনোর চেষ্টা চলছে বলে  জানিয়েছেন নগর পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) উপ-কমিশনার মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঁইয়া।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) দেবদাস ভট্টাচার্য জানান, ঢাকার পর চট্টগ্রামে সবচেয়ে বেশি বিদেশি নাগরিক অবস্থান করেন।  তাদের নিরাপত্তা নিয়ে খুব টেনশনে আছি।  ইতালির নাগরিক খুনের পর থেকেই আমরা চেকপোস্ট বসিয়ে নিরাপত্তা দেয়া শুরু করেছি।  সকালে জাপানি নাগরিক হত্যার খবর পেলাম।  এরপর সব থানা-ফাঁড়ি, ডিসি, এসবিকে অ্যালার্ট করা হয়েছে।  চেকপোস্টটা একটু ভিন্ন কৌশলে করছি।

শনিবার বেলা ১১টার কিছুক্ষণ আগে কাউনিয়া উপজেলার আলুটারি মহিষওয়ালা মোড়ে জাপানি নাগরিক ওসি কনিওকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।

হত্যাকান্ডের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চট্টগ্রাম নগরীতে চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহন বিশেষ করে মোটরসাইকেল এবং সন্দেহভাজন লোকজনকে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ।  সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত এক ঘণ্টা নগরীর কমপক্ষে ৩০টি স্পটে একযোগে চেকপোস্টের মাধ্যমে তল্লাশি চলে।   রাত ১১টা পর্যন্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্পটে সারপ্রাইজ চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশির নির্দেশ দিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার।

সূত্রমতে, চট্টগ্রামে মূলত শ্রীলংকা, ভারত, পাকিস্তান, চীন, নেপালের লোকজনের বসবাস বেশি।  এছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ নিয়ে বিদেশি নাবিকরা আসেন।  এর বাইরে বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থায় কর্মরত আছে আরও কয়েকটি দেশের নাগরিক।

সিইপিজেডের কয়েকটি কারখানা, ইউএসটিসি ও এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব উইম্যানসহ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, দূতাবাসের শাখা, অলিয়ঁস ফ্রঁসেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত এসব নাগরিকদের অধিকাংশের বসবাস নগরীর খুলশী এলাকায়।

নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (বন্দর) এস এম তানভির আরাফাত জানান, হালিশহর, আগ্রাবাদ, ও আর নিজাম রোড, খুলশি, ইপিজেড এলাকায় বিদেশিদের অবাধ যাতায়াত আছে।  এসব এলাকাকে ঘিরে গোয়েন্দা নজরদারি আছে।

তবে নগর পুলিশকে অবহিত করা ছাড়া যারা সাময়িকভাবে চট্টগ্রামে আসেন তাদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছে নগর পুলিশ।  তাদের নিরাপত্তা কিভাবে নিশ্চিত করা যায় সেই কৌশল খুঁজছেন নগর পুলিশের কর্মকর্তারা।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) দেবদাস ভট্টাচার্য জানান, দু’জন যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির বিষয় আছে।  সামনে দুর্গাপূজা।  সব মিলিয়ে চট্টগ্রাম নগরীর নিরাপত্তা জোরদার আছে।  তবে বিদেশিদের নিরাপত্তার বিষয়ে আমাদের বেশি অ্যালার্ট থাকতে হচ্ছে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.