বাঁশখালীতে বালতি দিয়ে ওএমএস চাউল বিতরণের অভিযোগ

0

বাঁশখালী প্রতিনিধিঃ করোনা দুর্যোগ মোকাবেলায় সারাদেশের ন্যায় বাঁশখালীতে গরীব অসহায় পরিবারের মাঝে ওএমএস’র চাউল বিতরণ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। ইতিমধ্যে বাঁশখালীর ১৪টি ইউনিয়নে ১৪ জন ডিলার এবং পৌরসভায় ২ জন ডিলার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। প্রতিজন ডিলার সপ্তাহে রবিবার, মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার ১ টন করে চাউল ১০ টাকা দামে সাধারণ কার্ডধারী জনগণের মাঝে বিক্রি করবেন। প্রতি কার্ডধারী একসাথে ৩০ কেজি চাউল কিনতে পারবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়।

সরকারের এই খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর আওতায় বর্তমানে করোনা ভাইরাসের কারণে সবচেয়ে খেটে খাওয়া ও অসহায় মানুষদের জন্য অনেক বেশী উপকার বয়ে আনলেও অনেক ক্ষেত্রে এই চাউল পাটের বস্তার পরিবর্তে বালতি দিয়ে বিতরণ করায় পরিমাণে ৩-৪ কেজি কম পাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অপরদিকে অনেক অসহায় পরিবার এই কার্যক্রমের আওতার বাইরে রয়েছে।

বাঁশখালীর চাঁদপুরঘাট এলএসডির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সাহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা খাদ্য বিতরণকালে কোন ধরনের পিপি ছাড়াই মাঠ পর্যায়ে তদারকি করে থাকি। তারপরেও হয়তো কোথাও যথাসময়ে পৌঁছতে না পারলে কেউ যদি অনিয়ম করে এ ব্যাপারে যথাযথ প্রমাণ পাওয়া গেলে প্রশাসনিক ব্যবস্থা হিসেবে তার ডিলারশীপ বাতিল করা হবে।

এদিকে বাঁশখালীর সর্বত্র এই কর্মসূচী শুরু হওয়ার পর থেকে সাধারণ জনগণের মাঝে সাড়া জাগলেও বিপত্তি ঘটেছে সাধনপুরে চাউল বিতরণ নিয়ে। সেখানে চটের বস্তার পরিবর্তে বালতি দিয়ে ডিলাররা চাউল বিতরণ করছে। তা নিয়ে এলাকায় সামাজিক মিডিয়া সহ সাধারণ জনগণের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

এ ব্যাপারে জানতে সাধনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন চৌধুরী খোকা বলেন, আমার এলাকায় চাউল বিতরণে কোন ধরনের অনিয়ম হয়নি। ৫০ কেজি বস্তা থেকে চাউল খুলে বিতরণ করা হয়েছে। এখানে অনিয়মের প্রশ্নই আসে না। অপরদিকে চাউল বিতরণ করা ডিলার দেলোয়ার হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি ৫০ কেজি বস্তা খুলে ভাগ করে বিতরণ করেছি মাত্র। কেউ যদি কম পড়েছে প্রমাণ দিতে পারে তাকে দিগুণ ফেরত দেব।

এদিকে সাধনপুর এলাকার চাউল বিতরণ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্থানে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তেমনি একজন মো. পেঠান। তিনি বলেন, আমি ৩০ কেজি চাউল ৩০০ টাকা দিয়ে নিয়ে এসে বাড়িতে দেখি ২৭ কেজি হয়ে গেছে। বালতি দিয়ে চাউল দেওয়ায় এই ঘটনা হয়েছে।

এ ব্যাপারে বাঁশখালী উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মংখ্যাই বলেন, বর্তমানে বাঁশখালীতে ১৬ জন ডিলারের মাধ্যমে ওএমএস’র ১০ টাকা কেজিপ্রতি খাদ্য কর্মসূচী শুরু হয়েছে। তাতে কারো অনিয়ম পাওয়া গেলে প্রশাসনিক ভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.