অর্থনীতির সাময়িক ক্ষতি হলেও আগে করোনা নিয়ন্ত্রণ

চিকিৎসক, সেবা কর্মী ও গবেষণা বাড়ানো দরকার

0

সিটি নিউজ ডেস্ক : ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি), পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ ও ইন্টারন্যাশনাল গ্রোথ সেন্টার (আইজিসি) যৌথভাবে ‘কোপিং উইথ কভিড-১৯ : দ্য কেস অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আইজিসির কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. ইমরান মতিন এর সঞ্চালনায় মঙ্গলবার (৯ জুন) রাত সাড়ে সাতটায় এ ভার্চুয়াল আলোচনা সভা পরিচালিত হয়।

করোনা পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা করে তা দ্রুত বাস্তবায়নের পরামর্শ দিয়েছেন কয়েকজন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ।

এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে তারা বলেছেন, সবার আগে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে। এতে অর্থনীতির সাময়িক ক্ষতি হলেও তা মেনে নিতে হবে। এর পাশাপাশি থাকতে হবে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে আলাদা পরিকল্পনা।

ইকোনমিক রিসার্চ গ্রুপের বোর্ড সদস্য অধ্যাপক এস আর ওসমানী এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, কঠোর লকডাউনে যেতে হবে। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার বিকল্প নেই। জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে কার্যকর উদ্যোগ দরকার। সরকারের সকল সহায়তা হওয়া উচিত ক্ষুধা ও মৃত্যু রোধে। অবশ্যই অর্থনৈতিক কার্যক্রম চালু করতে হবে। তবে নিরাপত্তা সবার আগে। প্রচুর পরীক্ষা করতে পারলেই শ্রমজীবীদের কাজে ফেরা নিরাপদ হবে।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, অর্থনৈতিক ক্ষতি পোষাতে সরকার সহায়তা করছে। এজন্য বাজেটেও বরাদ্দসহ অন্যান্য সহযোগিতা থাকছে। প্রয়োজনীয় সকল উদ্যোগ নেওয়া হবে। দীর্ঘ সময় লকডাউন রাখা সম্ভব নয়। লাখ লাখ নিম্ন আয়ের মানুষ, ছোট ছোট প্রতিষ্ঠান টিকিয়ে রাখার কথাও ভাবতে হবে। মানুষকে সচেতন হতে হবে।

পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য শামসুল আলম বলেন, টেস্ট বাড়ানো হয়েছে। চিকিৎসার অবকাঠামোও বাড়ানো হয়েছে। বেশি টেস্ট হলে বেশি সংক্রমণ ধরা পড়বে। প্রথম তিন মাস গেছে এখন দ্বিতীয় পর্যায় শুরু হচ্ছে। বছরের শেষে টিকা পাওয়া যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এতে নিয়ন্ত্রণ সহজ হবে।

পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, রাজনৈতিক অর্থনীতির প্রেক্ষিত, দক্ষতা ও সীমাবদ্ধতার মধ্যেই করোনাভাইরাস মোকাবিলা করতে হবে। অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত জরুরি। তবে বিষয়টি খুব সহজ নয়। জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি ভবিষ্যতে বড় বিষয় হবে। এজন্য বাজেটে এ বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া দরকার। অবকাঠামোর চেয়ে চিকিৎসক, সেবা কর্মী ও গবেষণা বাড়ানো দরকার। অন্যদিকে দরিদ্রদের সহায়তা দরকার। উদ্যোক্তাদেরও প্রণোদনা দিতে হবে। অর্থনীতি নিয়ে যত কথা হচ্ছে, মানবসম্পদ নিয়ে তত হচ্ছে না। এ বিষয়ে সরকারকে ভাবতে হবে।

সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, প্রচলিত খানা আয়-ব্যয় তথ্যের ভিত্তিতে দরিদ্র ও নতুন দরিদ্রদের চিহ্নিত করা ঠিক হবে না। ৪০টি পেশা আছে। লকডাউনসহ অন্যান্য কারণে কোন পেশা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তা দেখতে হবে। দেশের অর্ধেক জনগণকে ৯ মাস সহায়তা করতে হবে। সর্বজনীন সামাজিক নিরাপত্তা স্কিম নেওয়ার দরকার। সম্পদ আছে, তবে সম্পদ সৃষ্টি করা এবং তা সরবরাহ করাই চালেঞ্জ।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.