বাঁশখালীর পুকুরিয়া বৈলগাঁওতে আবারো হাতির মৃত্যু

0

কল্যাণ বড়ুয়া, বাঁশখালীঃ চট্টগ্রামের বাঁশখালীর পুকুরিয়া বৈলগাঁও পাহাড়ী এলাকার লটহল ধলতলীতে এক মৃত হাতি পাওয়া গেছে।

গত সোমবার মৃত হাতির পোষ্টমার্ডাম করেছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারন কর্মকর্তা সবুজ কান্তি নাথ ও শুভ কান্তি দাশ এর সমন্বয়ে । ৭/৮ বছর বয়সী হাতিটি বিষক্রিয়ায় মারা গেছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে।

এ নিয়ে চলতি বছরে বাঁশখালীর সাধরপুর রেঞ্জের আওতায় পাহাড়ী এলাকায় ৩টি হাতির মৃত্যু হলো। চলতি বছরে ৫ ফেব্রয়ারি সাধনপুর পাহাড়ি হাতির মৃত্যু হয় । এর পর ৩০ মার্চ সাধনপুর লটমনি পাহাড়ে এবং ২৩ মে একই ভাবে হাতির মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ও বনবিভাগের দায়িত্বশীল সুত্রে জানা যায় পুকুরিয়া বৈলগাঁও পাহাড়ী এলাকার লটহল মৌজার ধলতলীতে মৃত হাতি দেখতে পেয়ে স্থানীয় জনগন বনবিভাগকে অবহিত করলে বনবিভাগ কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনকে অবহিত করে গতকাল উপজেলা প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারন কর্মকর্তা সবুজ কান্তি নাথ ও শুভ কান্তি দাশ এর সমন্বয়ে হাতির পোষ্টমার্ডাম করে।

 একের পর এক হাতির রহস্যজনক মৃত্যু !

উপজেলা প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারন কর্মকর্তা সবুজ কান্তি নাথ বলেন মৃত হাতিটির পোষ্টমার্ডাম এর জন্য প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে প্রাথমিকভাবে বিষক্রিয়ার কারণে মারা যেতে পারে বলে তিনি ধারনা করেন । বনবিভাগের সাধনপুর রেঞ্জ এর পুকুরিয়া বনবিট কর্মকর্তা মনসুর আহমদ বলেন কিভাবে হাতিটি মারা গেছে এখনো পর্যন্ত জানা যায়নি তবে বিস্তারিত জানার জন্য চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান ।

এদিকে বাঁশখালীর বৈলছড়ি ইউনিয়নের পূর্ব বৈলছড়ি পাহাড়ে গোপনে পুতে ফেলা হাতির ১৩ জুন সন্ধান পাওয়া গেছে। পুতে ফেলা হাতির গন্ধে এলাকাবাসী অতিষ্ট হয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান কফিল উদ্দিনের কাছে অভিযোগ করলে তিনি বনবিভাগ ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে অবহিত করলে বাঁশখালী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. সমরঞ্জন বড়ুয়া ও প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা: সবুজ কান্তি নাথ ও ডা: শুভ কান্তি দাশের সমন্বয়ে পোষ্টমার্ডাম করা হয় ।

উল্লেখ্য এশিয়ার একমাত্র হাতির প্রজনন কেন্দ্র হিসাবে স্বীকৃত চুনতি অভয়ারণ্য এ বাঁশখালীর পাহাড়ী জনপদ। চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের আওতায় জলদী অভয়ারণ্য রেঞ্জ ও কালীপুর রেঞ্জের আওতায় ৮টি বিট অফিস রয়েছে। বাঁশখালীর জলদী, চাম্বল, নাপোড়া, পুঁইছড়ি, কালীপুর, বৈলছড়ির চেচুরিয়া, সাধনপুর ও পুকুরিয়া বিট অফিসের পাহাড়ী এলাকায় প্রায় সময় পাহাড়ী হাতি হানা দিয়ে বসতবাড়ি ,ফসলী জমি তছনছ ও মানুষের মৃত্যুর ঘটনা সংগঠিত হয়।

তাছাড়া চলতি বছরে জ্ঞাত ভাবে ৫ টি হাতির মৃত্যু এবং অজ্ঞাতসারে আরো হাতির মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যায়। সর্বশেষ গত ১৩ জুন বৈলছড়ির অভ্যারখীল পাহাড়ে হাতিকে মেরে গোপনে পুতে ফেলার ঘটনা হয় এবং হাতির থেকে দাঁতসহ প্রয়োজনীয় অঙ্গপ্রত্যঙ্গ নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে ।

 

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.