ডবলমুরিং এ কিশোর আহ্মহত্যাঃ সেই এসআই হেলালের বিরুদ্ধে মামলা

0

সিটি নিউজঃ চট্টগ্রাম নগরীর বহুল আলোচিত কিশোর সাদমান ইসলাম মারুফের আত্মহত্যায় সমালোচিত ডবলমুরিং থানার বরখাস্ত হওয়া এসআই হেলাল খানের বিরুদ্ধে আদালতে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে মামলা হয়েছে।

চট্টগ্রামের ১ম মহানগর হাকিম আদালতে বাদী হয়ে মামলাটি করেন গত ১৬ জুলাই ডবলমুরিংয়ের বড় মসজিদ গলিতে ‘আত্মহনন’ করা সাদমান ইসলাম মারুফের মা রুবিনা আক্তার। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে শুনানি করেন এবং নগর গোয়েন্দা পুলিশকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন।

আদালত সূত্র জানায়, গত ২৩ জুলাই মারুফের মা রুবিনা আক্তার এসআই হেলাল খান ও তার ৩ জন সোর্সের বিরুদ্ধে প্রথম মহানগর হাকিম খায়রুল আমিনের আদালতে একটি মামলা ফাইল করেন।

আজ সোমবার (২৭ জুলাই) সকালে এটির উপর তৃতীয় মহানগর হাকিম শফি উদ্দিন শুনানি করেন। শুনানির একপর্যায়ে আদালত তিন সোর্সকে বাদ দিয়ে শুধুমাত্র এসআই হেলাল খানের বিরুদ্ধে মামলাটি আমলে নেন এবং নগর গোয়েন্দা পুলিশকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন।

উল্লেখ্য, গত ১৬ জুলাই বৃহস্পতিবার ডবলমুরিংয়ের বাদামতলী বড় মসজিদ গলিতে মারুফ নামের এক তরুণের উপর চড়াও হয় কাশেম নামের একজনসহ ডবলমুরিং থানার এসআই হেলাল খানের দু’জন সোর্স। এ দু’জন সোর্স দশম শ্রেণি পড়ুয়া কিশোর মারুফ, তার মা রুবি আক্তার ও বোন নেহাকে মারধরসহ শারিরীকভাবে লাঞ্চিত করেন। এর মাঝে ঘটনাস্থলে প্রবেশ করেন কন্সটেবল থেকে ডিপার্টমেন্টল প্রমোশন পেয়ে এসআই হওয়া হেলাল খান।

সোর্সদের সাথে যোগ দিয়ে এ হেলাল খানও মারুফসহ তার মা বোনকে বেদম পিটিয়ে আহত ও লাঞ্চিত করেন। মারুফ পালাতে পারলেও পায়ে ধরেও হেলাল খানের কাছ থেকে নিস্তার পায়নি মারুফের মা বোন। তাদেরকে টেনে হিঁছড়ে সেই সাদা রংয়ের নোহা গাড়িতে তুলে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে মা বোনের এমন লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনা ও থানায় নেওয়ার অপমান সহ্য করতে না পেরে পাশের করিম চাচার ঘরে ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করেন ১৬ বছরের কিশোর সাদমান ইসলাম মারুফ।

 

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.