২১ আগস্ট অপচেষ্টা ব্যর্থ হলেও এখনো জাতি শঙ্কামুক্ত নয়

চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটির মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

0

সিটি নিউজ ডেস্ক : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা বাঙালি জাতিসত্তার উত্তরাধিকারদের নাশকতা করার একটি ধারাবাহিক অপচেষ্টার ব্যর্থ প্রয়াস। সে সময়ে তৎকালীন বিরোধী নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি জামাত জোট সরকারের জঙ্গীবাদী অপতৎপরতার বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেছিলেন বলেই তাকে ৭১’র পরাজিত শক্তিরা টার্গেট করেছিল।২১ আগস্টের অপচেষ্টা ব্যর্থ হলেও এখনো জাতি শঙ্কামুক্ত নয়। আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অশুভ শক্তিকে বিনাশ করে শুভ শক্তির জাগরণ ঘটিয়ে যে আহ্বান নতুন প্রজন্মের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়েছে। সে বার্তাটি হল বাঙালি জাতিসত্ত্বার ঠিকে থাকার ভিত্তি সোপান।

বুধবার বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ২০০৪ সালে ২১ শে আগষ্ট হত্যা চেষ্টায় বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলা করে মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভী রহমানসহ ২৪ জন নেতা-কর্মীদের হত্যার বিচারের রায় কার্যকর এবং বিদেশে পলাতক আসামীদের ফিরিয়ে আনার দাবীতে চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটি আহবানে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন।

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, আগস্ট মাস এলেই আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। কেননা এ মাসেই বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ড এবং শেখ হাসিনাকে হত্যার ব্যর্থ প্রয়াস সংগঠিত হয়েছিল। আমরা দৃশ্যমান অপরাধীদের চিহ্নিত করতে পারলেও যারা নেপথ্যের কুশীলব ছিলেন তারা হাইব্রীড হয়ে দলের ভেতরে ঢুকে পড়েছে। এদের বিরুদ্ধে তৃণমূল নেতাকর্মীদের নিয়ে আমি লড়াইয়ের ময়দানে আছি এবং থাকবই। এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, শ্রমিক লীগ,যুবলীগ, ছাত্রলীগ সহ যারা মাঠে আছেন তাদেরকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় শুদ্ধি অভিযানের আমাদেরকে সকলকে পাপমুক্ত করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডসহ জেল হত্যা মামলা এবং গ্রেনেড হামলা মামলার দন্ডিত অপরাধীরা যারা বিদেশে পলাতক রয়েছে তাদেরকে ফিরিয়ে এনে বিচারিক আদালতের রায় কার্যকর করলেই জাতি পাপমুক্ত হবে। বাংলাদেশ জাসদের কেন্দ্রীয় নেতা বাবু ইন্দু নন্দন দত্ত বলেন, আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি কোন ছোটখাটো অজুহাতে নিজেদের মধ্যে বিভক্তি করা যাবে না। চট্টলবীর এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরী নেতৃত্ব নির্দেশনায় মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের রাজনৈতিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে যে ভিত্তিটি তৈরি করেছিলাম তা আজ আলগা হয়ে গেছে। তা আজ সুদৃঢ় করতে হবে।
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আরশেদুল আলম বাচ্চুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানবন্ধনে এতে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন জাসদ কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন বাবুল, গণ আজাদী লীগের আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম আশরাফী, বাংলাদেশ জাসদ চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক, কেন্দ্রীয় ন্যাপ সাংগঠনিক সম্পাদক মিঠুল দাশ গুপ্ত, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক, আবদুল আহাদ, সাবেক কাউন্সিলর এম এ নাসের, মিথুন বড়ুয়া, হাবিবুর রহমান তারেক, সাবেক ছাত্রনেতা ইলিয়াছ উদ্দিন, সুজন, নাজমুস সাকিব, শাহেদ আলম, তাজুল ইসলাম তাজু, ইয়াছিন আরাফাত কচি, খোরশেদ আলম মানিক, নাদিম উদ্দিন, আকতার হোসেন সৌরভ, এম এ হালিম সিকদার মিঠু, সৈয়দ আনিসুর রহমান, তোফায়েল আহমেদ মামুন, জাহিদুল ইসলাম, মিজানুর রহমান মিজান, শান্টু ইসলাম, মুসলিম উদ্দিন, হাসান আলী আমান, মাহমুুদুর রশিদ বাবু, সুলতান মামুন ফয়সাল, সালাউদ্দিন বাবু, নয়ন উদ্দিন, কাজী মাহমুদুল হাসান রনি, রুবেল সরকার, ওয়াহিদুল আলম, নুরুন্নবী সাহেদ, রাকিব হায়দার, ইমরান হোসেন, শাহাদাত হোসেন হীরা, আবদুল্লাহ আল আহাদ, ইমাম হোসেন ইমন, আবদুল হাকিম ফয়সাল, আজিজুল ইসলাম, নূর উদ্দিন তুফান, সোহেল বড়ুয়া, শফিক জাবেদ, রবিউল ইসলাম খুকি, মুজিবুর রহমান মুজিব, আবু সাঈদ মুন্না, আওরাজ ভুইয়া রনক, মিজানুর রহমান, জাহিদুল আলম, ফরহাদ উদ্দিন জিতু, আশেকুর রহমান প্রিন্স, ফাহাদ আলম, সালাউদ্দিন কাদের আরজু, সোহেল তালুকদার সাদ্দাম হোসেন, রিজান, ইউসুফ আলী বিপ্লব, ওমর গণি, জাবেদ রহিম মুন, স্বর্ণেন্দু বিকাশ, মিনহাজুল ইসলাম মিনহাজ, মেহেদী, শহর আলী, মিজানুর রহমান মিজান প্রমুখ।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.