ডা. লিখলেন Novelta নার্স চিরকুটে লিখে দিল Neotack

0

দিলীপ তালুকদারঃ নুর জাহান বেগম বুকে ব্যথা নিয়ে সোমবার (৩১ আগষ্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ভর্তি হন বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। প্যান্টুনিক্স ৪০ দুইটা ইঞ্জেকশন ও স্যালাইন ফুশ করার কিছুক্ষন পর ৫০% ব্যাথা কমে যায়। ৯টা নাগাদ আর একটা ইঞ্জেকশন মারার পর বুকের ব্যাথা তীব্র বেড়ে যায়। প্রচন্ড ব্যাথা ও খিদে কিচ্ছু খাবার খাওয়া নাকি সম্পুর্ন নিষেধ।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাঃ হীরক কুমার পালকে বললাম উনি বললেন যা দিয়েছে চলুক এখন দেখা লাগবে না সকালে দেখবেন।রোগীর ছটফটানি দেখে নার্সদের সহযোগিতা নিয়ে প্রেস্ক্রিপশন নিয়ে ডাঃ সাহেবের কাছে যাই অনেক কাকুতি মিনতি করার পর উনি আসলেন দেখলেন উনি বাড়তি একটা সিরাপ দিলেন Novelta। কিন্তু নার্স চিরকুটে লিখে দিল Neotack ।

দোকান ঘুরে এলাম পেলাম না।এটা সাপ্লাই নেই নাকি।ফেরত আসলাম ফাইলে দেখলাম novelta. আবার গেলাম দোকানে নভেল্টা নেই বিকল্প দিল ভিসকোসিড।এটা খাওয়ার পর ব্যাথা না কমলে চমেকে নিয়ে যেতে বলেন। এক ঘন্টা অপেক্ষা করতে বলেন তাই করলাম কিন্তু ব্যথা কমেনি।

ছাড়পত্র অগ্রিম রেডি করা পেলাম সাথে সাথে এম্বুলেন্স পেয়ে চমেকে জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হল। প্রশ্ন থার্ড ইঞ্জেকশন কি ছিল? কর্তব্যরত নার্স কেন Novelta কে Neotack লিখল? স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নাকি কোন এম্বুলেন্স নেই, বাহির থেকে ৪/৫ হাজার টাকা দিয়ে ভাড়া করে চমেকে যেতে হয়।এই যে দুরাবস্থা ও আলখেল্লা ব্যবস্থাপনা দেখার কি কেউ নেই।

শিক্ষক আব্দুল করিম তার ভাবীর চিকিৎসা নিয়ে কথাগুলো বললেন। নূর জাহান বেগম বাঁশখালী উপজেলার পূর্ব চেচুরিয়া খদুলা পাড়া মৃত আব্দুর রহিমের স্ত্রী।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.