জেএমবি সদস্যদের চার মামলা

0

সিটিনিউজবিডি : চট্রগ্রাম নগরীর কর্ণফুলী থানার খোয়াজনগরের একটি বাসা থেকে অস্ত্র-গ্রেনেড-বিস্ফোরকসহ পাঁচ জেএমবি সদস্য গ্রেপ্তারের ঘটনায় চারটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে অস্ত্র, বিস্ফোরক ও সন্ত্রাস দমন আইনে কর্ণফুলী থানায় তিনটি এবং জেএমবি নেতা জাবেদ গ্রেনেড বিস্ফোরণে নিহতের ঘটনায় বায়েজিদে আরেকটি মামলা দায়ের করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।

এরমধ্যে গ্রেপ্তার পাঁচজনের মধ্যে জীবিত চার জেএমবি সদস্যকে কর্ণফুলী থানার তিন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বুধবার দুপুরে তাদের আদালতে হাজির করার কথা রয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) দেবদাস ভট্টাচার্য বলেন, ‘কর্ণফুলীতে অস্ত্র-গ্রেনেড-বিস্ফোরকসহ পাঁচ জেএমবি সদস্য গ্রেপ্তারের ঘটনায় জীবিত চারজনসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে কর্ণফুলী থানায় তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আর অনন্যা আবাসিক এলাকায় মঙ্গলবার ভোররাতে গ্রেনেড বিস্ফোরণে জেএমবি নেতা জাবেদ নিহতের ঘটনায় অজ্ঞাত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাগুলো ডিবিই তদন্ত করবে।’

কর্ণফুলীর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, খোয়াজনগর এলাকার একটি বাসা থেকে অস্ত্র-বিস্ফোরক-গ্রেনেড উদ্ধারের ঘটনায় মঙ্গলবার গভীর রাতে ডিবি এস আই আলতাফ হোসেন বাদি হয়ে তনটি মামলা দায়ের করেছেন। তিনটি মামলার মধ্যে অস্ত্র আইনের মামলায় জেএমবির গ্রেপ্তার হওয়া চার আসামি বুলবুল আহমেদ ওরফে ফুয়াদ, কাজল, মাহবুব ও সুজন ওরফে বাবুকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া বিস্ফোরক ও সন্ত্রাসদমন আইনে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার এই চারজন ছাড়াও ফারদিন ও গিয়াস নামে পলাতক দুই জেএমবি সদস্যের নাম যুক্ত করা হয়েছে। মামলার তদন্তে এ দু’জনের নাম আসায় তাদের আসামি করা হয়েছে বলে গোয়েন্দা পুলিশ জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় নগরীর কর্ণফুলী থানার খোয়াজনগর এলাকার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে ৯টি শক্তিশালী হ্যান্ড গ্রেনেড ও বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির সরঞ্জাম, অস্ত্র তৈরির মেশিন, একটি বিদেশি পিস্তল, ১০টি ছোরা, দুইশ রাউন্ড একে ২২ অস্ত্রের গুলি, জিহাদি বই উদ্ধার করে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। এসময় জেএমবি’র সামরিক প্রধান জাবেদসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়। তবে পরবর্তীতে জাবেদ ৬ অক্টোবার ভোরে নগর গোয়েন্দা পুলিশের সাথে গ্রেনেড উদ্ধারের অভিযানে গিয়ে গ্রেনেড বিস্ফোরণে নিহত হয়।

বায়েজিদে মাজারে ঢুকে জোড়া খুন ও সদরঘাটে ছিনতাই করতে গিয়ে দুই ছিনতাইকারিসহ তিনজন নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার জেএমবি সদস্যদের সম্পৃক্ততা পেয়েছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। এরমধ্যে গ্রেপ্তার সুজন ওরফে বাবু একাই ন্যাংটা ফকির ও তার খাদেম কাদেরকে গলা কেটে হত্যা করে বলে স্বীকার করেছে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.