বাঁশখালীর চেচুরিয়ায় অবৈধ সিএনজি ফিলিং ষ্টেশন সিলগালা
সিটি নিউজঃ বাঁশখালীর বৈঁলছড়ি ইউনিয়নের চেচুরিয়ায় স্থাপিত অবৈধ সিএনজি ফিলিং ষ্টেশন সিলগালা করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সাথে এ অবৈধ গ্যাস পাম্পের মালামাল জব্দ, সিলগালা ও ৬০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে বাঁশখালী উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
বুধবার বিকালে বাঁশখালী উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, বিস্ফোরক অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের সহকারি পরিদর্শক মুহাম্মদ মেহেদী ইসলাম খান, চট্টগ্রাম কর্ণফুলী গ্যাস ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানীর ডেপুটি ম্যানেজার কবির আহমদ ও বাঁশখালী থানা পুলিশের যৌথ ভাবে এ অভিযান পরিচালনা করেন।
এ সময় ঝুকিঁপূর্ণ জনবসতি ও ৩৩ হাজার বোল্ট বিদ্যুৎ লাইনের নিচে গড়ে উঠা অবৈধ গ্যাস ফিলিং ষ্টেশন সিলগালা, মালামাল জব্দ ও বাংলাদেশ গ্যাস আইন ২০১০ সালের ১৩ ধারা ও ভোক্তা অধিকার আইন ৪০ ধারামতে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ সময় গ্যাস ফিলিং ষ্টেশনে থাকা ১০০ কেজি ওজনের ৭৪টি সিলিন্ডার, হুইশ পাইপ ১টি, নজেল পাইপ ২টি, সিঙ্গেল মোটর সেল ১টি, ১৫০ পিচ গুচ্ছ সিলিন্ডার, কম্পোসার মেশিন ১টি, ডিসপেনসার ১টিসহ চট্টমেট্রো-ট ১১-৭৯৮৫ কাভার্ড ভ্যান, ভ্যানে রক্ষিত দেড়শ কেজি ওজনের ১৬টি সিলিন্ডার জব্দ করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম কর্ণফুলী গ্যাস ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানীর ডেপুটি ম্যানেজার কবির আহমদ বলেন, এ ফিলিং ষ্টেশনে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকা ও ঝুঁকিপুর্ণ হওয়ায় মালামাল জব্দ ও সিলগালা করা হয়েছে।
বিস্ফোরক অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের সহকারি পরিদর্শক মুহাম্মদ মেহেদী ইসলাম খান বলেন, গ্লোরি এ্যাগ্রো প্রডাক্টস কোম্পানির নামে দুটি গ্যাসের সিলিন্ডার ভর্তি ট্রাক দিনের পুরো সময় ট্রিপল মোড়ানো অবস্থায় রাখে । ট্রাক ভর্তি সিলিন্ডার থেকে যেভাবে গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে তা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। যে কোন সময় বড় ধরনের দুঘর্টনা পারে ও ঝুঁকিপুর্ণ ফিলিং ষ্টেশনে বৈধ কাগজপত্র না থাকায় উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় মালামাল জব্দসহ গ্যাস পাম্প বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
বাঁশখালী উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, ভাসমান ফিলিং গ্যাস পাম্পটি ঝুঁকিপূর্ণ। এ ধরনের খোলা ও জনবসতি এলাকায় গ্যাস বিক্রি সম্পুর্ণ অবৈধ । চট্টগ্রাম বিস্ফোরক অধিদপ্তর ও কর্ণফুলী গ্যাস ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ অভিযান পরিচালনা করে জরিমানা আদায় করা হয়েছে। পাশাপাশি মালামাল জব্দ ও সিলগালা করা হয়েছে । যতদিন পর্যন্ত বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারবে না ততদিন এই পাম্প বন্ধ থাকবে। কেউ আইন অমান্য করে যদি গ্যাস পাম্পটি চালু করে তাদেরকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে গড়ে উঠা এ সিএনজি গ্যাস ফিলিং ষ্টেশনটি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে মাসিক মাশোহারা দিয়ে চালিয়ে আসছিল। সম্পূর্ণ নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণভাবে গড়ে উঠা এ ফিলিং ষ্টেশনটি চালিয়ে আসছিল অনুমোদন ছাড়াই।
এ ব্যাপারে ফিলিং ষ্টেশনটির মালিক আব্দুর নূরকে কয়েক দফা ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।