হেফাজতের উল্টোরথঃ বাবুনগরীই আমির হচ্ছেন

0

গোলাম শরীফ টিটুঃ দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার শায়খুল হাদীস ও শিক্ষা পরিচালক নিযুক্ত হওয়ার পর থেকে হেফাজতের আমির পদে জুনায়েদ বাবুনগরী আলোচিত হচ্ছে। আমির পদে জুনায়েদ বাবুনগরী ছাড়া কারো নাম নাআসলেও মহাসচিব পদে সংগঠনের একজন নায়েবে আমির ও দুইজন যুগ্ন মহাসচিবের নাম শোনা যাচ্ছে। তারা হলেন হেফাজতের নায়েবে আমির ও ঢাকার বারিধারার জামেয়া মাদানিয়া মাদ্রাসার প্রধান পরিচালক নুর হোসাই নকাসেমী, হেফাজতের যুগ্ন মহাসচিব ও ফটিকছড়ি নানুপুর মাদ্রাসার প্রধান পরিচালক শাহ সালাউদ্দিন নানুপুরী এবং হেফাজতের অপর যুগ্ম মহাসচিব ব্রাহ্মণ বাড়িয়াার সাজেদুর রহমান।

এই তিনজনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের কাছে সালাউদ্দিন নানুপুরীর গ্রহনযোগ্য বেশি বলে জানা যায়। হেফাজতের মূল নেতৃত্ব চট্টগ্রাম কেন্দ্রিক রাখতে আগ্রহী নেতৃবৃন্দের অনেকেই। যে কারনে চট্টগ্রামের বাইরের মহাসচিব পদে আলোচিত নুর হোসাইন কাসেমী ও সাজেদুর রহমানকে নেতৃত্বে আনতে তাদের অনাগ্রহ। হেফাজতের সম্মেলনের দায়িত্বে থাকা এক নেতার সুত্রে উল্লেখিত তথ্য জানা গেছে।

সুত্রমতে, কওমি মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিসের পরীক্ষা শেষ হবে ২৯ সেপ্টেম্¦র। এরপরই সম্মেলন আয়োজন হতে পারে। আহমদ শফির মৃত্যুর পর হেফাজতের ঘাঁটি হাটহাজারী মাদ্রাসার কর্তৃত্ব এখন জুনায়েদ বাবুনগরীর হাতে। মাদ্রাসা পরিচালনা বোর্র্ডের ৩ সদস্যের মধ্যে আহবায়ক মুফতি আবদুস সালাম চাটগামী ও সদস্য ইয়াহিয়া বাবু নগরীর ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিত। যে কারনে হেফাজতের নতুন কমিটি থেকে আহমদ শফির অনুসারীরা বাদ পড়তে পারেন। কয়েকজন কমিটিতে আসলেও তারা তেমন গুরুত্বপুর্ন পদ পাবেননা। সম্মেলনে কাউন্সিলরদের সমর্থনে হেফাজতের নতুন আমির ও মহাসচি বনির্বাচিত হবে বলে জানা গেছে। তবে নতুন মহাসচিব পদে নুর হোসাইন কাসেমীর তেমন আগ্রহ নেই বলে জানান এক শীর্ষ নেতা।

তিনিবলেন, সালাউদ্দিন নানুপুরী ও সাজেদুর রহমান মহাসচিব পদে আগ্রহ দেখিয়েছেন। ২০১০ সালের ১৯ জানুয়ারী গঠিত হয় কওমি আক্বিদার অরাজনৈতিক ইসলামীসংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। তখন হাটহাজারী দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসার প্রধান পরিচালক শাহ আহমদ শফিকে আমির ও মাদ্রাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস জুনায়েদ বাবুনগরীকে মহাসচিব করে ২২৯ সদস্যের মজলিশে শুরা কমিটি গঠনকরা হয়েছিল।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর আহমদ শফিরমৃত্যুতে আমির পদটি এখ নশুন্য হয়ে যায়। ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষানীতির বিরোধীতার মধ্য দিয়ে হেফাজতের জন্ম হলেও সংগঠনটি আলোচনায় আসে ২০১৩ সালে ১৩ দফা দাবীতে আন্দোলনে রমধ্য দিয়ে।

জানা গেছে, আহমদ শফির একক নেতৃত্বে হেফাজতের সাংগঠনিক কর্মকান্ড পরিচালিত হলেও তাঁর মৃত্যুতে সংগঠনটি এখন দ্বিধা বিভক্ত। হেফাজতের সাংগঠনিক কর্মকান্ড ও হাটহাজারী মাদ্রাসার কতৃত্ব নিয়ে আহমদ শফির সঙ্গে জুনায়েদ বাবুনগরীর বিরোধ দীর্ঘদিনের। এর ধারাবাহিকতায় গত ১৬ সেপ্টেম্বর হাটহাজারী মাদ্রাসায় আহমদ শফি ও তার ছেলে আনাস মাদানীর বিরুদ্ধে ছাত্ররা আন্দোলন শরু করে। ছাত্রদের দাবীর মুখে সহকারী শিক্ষা পরিচালক আনাস মাদানীকে বহিস্কার করা হয় এবং পরদিন আহমদ শফি প্রধান পরিচালক পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এদিকে আহমদ শফির মৃত্যুতে তাঁর অনুসারীরা কোনঠাসা ও তাঁর ছেলে হেফাজতের প্রচার সম্পাদক আনাস মাদানী নিস্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন। প্রকাশ্যে আসছেন না আহমদ শফির কাছের লোক হিসেবে পরিচিত হেফাজতের দুই সহকারী যুগ্ন মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ ও মাঈনুদ্দিন রুহীসহ অনেক নেতা।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.