সততার প্রতীক বীর মুক্তিযোদ্ধা মহসীন খানঃ মোছলেম উদ্দিন 

0

সিটি নিউজঃ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি জননেতা মোছলেম উদ্দিন আহমদ এমপি বলেছেন, মরহুম মহসীন খান একজন সৎ, জ্ঞানী ও নির্লোভ বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।

১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সারা বাংলায় শুরু হয় প্রতিরোধ ও মুক্তি সংগ্রাম। গড়ে উঠে মুক্তি বাহিনী। দ্বিধাহীন চিত্তে সামরিক বাহিনীর বাঙালির সদস্যগণ স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। এ অবস্থায় কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় মহসীন খানও বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।

তিনি দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম করে দেশের মানুষকে স্বাধীনতা অর্জন করিয়ে দিয়ে নিজের জীবনকে থামিয়ে রাখেননি। জনসেবার মানসে নিজ ইউনিয়ন পটিয়া ৯নং জঙ্গলখাইন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

চেয়ারম্যান হিসেবে মহসীন খান সফল ছিলেন। শিক্ষা বিস্তারে তাঁর অবদান অনসীকার্য। শিক্ষা ছাড়া কোন জাতি উন্নতি লাভ করতে পারে না, এই বিশ্বাস তাঁর মনে ছিল। তাই তিনি এলাকায় শিক্ষা বিস্তারে ইউনিয়ন কৃষি স্কুল এন্ড কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবেও তাঁর ব্যাপক সুনাম রেেয়ছে।

তিনি বলেন, তিনি তাঁর শ্রম, মেধা, অর্থ দেশ ও জাতির কল্যাণে ব্যয় করেছেন। ত্যাগী এই নেতার আদর্শকে অনুস্মরণ করে দেশ ও জাতির কল্যাণে আত্মনিয়োগ করতে হবে। সততার প্রতীক ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মহসীন খান। একজন অত্যন্ত কর্মীবান্ধব ও চিন্তাশীল মানুষ হিসাবে মহসীন খান ইতিহাসে চিরঞ্জিব হয়ে থাকবেন।

বুধবার, বিকেল ৪টায় নগরীর ডি সি হিলের বিপরীতে এ কে খান মিলনায়নে (ফুলকি) বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: মহসীন খাঁন স্মরণ সভা কমিটি আয়োজিত পটিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, যুদ্ধকালীন গ্রুপ কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ মহসীন খানের স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

বীর মুক্তিযোদ্বা চৌধুরী মাহাবুবুর রমানের সভাপতিত্বে ও বীর মুক্তিযোদ্বা নুর মোহাম্মদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় প্রধান আলোচক হিসাবে বক্তব্য রাখেন পটিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রমাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্বা এম এন ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ জাফর, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফেরদৌস ইসলাম খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিক চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মন্নান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো ইছাক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুছা আলম, মরহুমের সন্তান মোহাইমেনুল ইসলাম খান, ডাঃ কাজল বড়ুয়া প্রমুখ।

সভায় মরহুমের যুদ্বকালীন ভুমিকা ও অন্যান্য কর্মকান্ডের বিশদ বিবরন তুলে ধরা হয় এবং তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.