জুবায়ের সিদ্দিকীঃ অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, চট্টগ্রাম কারাগারের অভ্যন্তরে ভূতের উপদ্রব হচ্ছে দিনে রাতে একটি ওয়ার্ডে। হালদা-১২ নামে এই ওয়ার্ডটি বর্তমানে কোয়ারেন্টাইন ওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। সদ্য কারামুক্ত বিএনপির এক নেতা জানান, সাম্প্রতিক সময়ে ভূতের তান্ডবে ‘টাউক্কা আজিজ’ নামের একজনের মাথা ফেটেছে।
দীর্ঘদিন কারাগারে কারাবাস করেছেন এমন অনেকের সাথে আলাপে জানা যায়, এই হালদা-১২ ওয়ার্ডটি ব্রিটিশ আমলে একটি শ্মশান ছিল। হাজতীরা এই ওয়ার্ডে দুটি ভূতের অস্তিত্ব দেখেছেন বলে জানান সদ্য কারামুক্তরা।
বিএনপির এক নেতা কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে জানান, “নগরীতে পুলিশের তাড়া, কারাগারে ভূতের তান্ডব” আমাদের কপাল থেকে যাচ্ছেনা। “বুবলি ও লেংগুনি” নামে দু’জন ভূত সম্পর্কে সদ্য কারামুক্ত এক ব্যবসায়ী জানান, বিএনপি নেতাকর্মীদের ভূতেও চিনে-কারাগারে ভূতের তান্ডবই তার প্রমান।
এছাড়া বিদ্যুৎ এর বাল্বগুলো জ্বলে কুপিবাতির মতো। গোসলের পানির রয়েছে তীব্র সংকট। কারাগারে সাধারণ ওয়ার্ডগুলোতে চর্মরোগে আক্রান্ত বেশীরভাগ আসামী। প্রচন্ড গরমে ফ্যান থাকলেও অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেন প্রায় হাজতী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক হাজতী সদ্য কারামুক্ত হয়ে জানান, খাবারের মান অত্যন্ত নিম্নমানের।
বেসরকারী কারা পরিদর্শক মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম চৌধুরী (অংকুর) সিটি নিউজকে বলেন, করোনাকালে বিগত ৬/৭ মাস আমরা কারাগার পরিদর্শন করতে না পারায় অনেককিছু এখন অবহিত নই। তবে পানির সমস্যা আগের মতো নেই। বিদ্যুৎ এর লোডশেডিং থাকতে পারে শহরের অন্যান্য স্থানের মতোই। তিনি বলেন, এমাসের ২৫ তারিখের মধ্যে বিদ্যুতের ডাবল লাইন প্রবেশ করলে বিদ্যুৎ সমস্যা থাকবে না। আমরা হয়তো সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী এই মাসে কারাগারে নিয়মিত রুটিন মাফিক কারা পরিদর্শনে আগের মতোই অনুমতি পাইতে পারি।
বেসরকারী কারা পরিদর্শক আজিজুর রহমানকে ভূতের তান্ডব সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই।