মুজাহিদকে নির্দোষ দাবি স্ত্রীর

0

সিটিনিউজবিডি : ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে গিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের সঙ্গে দেখা করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কারাগারে গিয়েছিলেন মুজাহিদের পরিবারের পাঁচ সদস্য। মুজাহিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কারাগার থেকে বের হন তারা।

মুজাহিদের সঙ্গে কারাগারে দেখা করেছেন, তার স্ত্রী তামান্না-ই-জাহান, তিন ছেলে আলী আহমেদ তাজজীদ, আলী আহমেদ তাহকীক ও আলী আহমেদ মাবরুর এবং মেয়ে তামরীন।

কারাগার থেকে বের হয়ে মহিলা জামায়াতের শুরা সদস্য তামান্না বলেন, আমার স্বামী অত্যন্ত সৎ। আদালত তাকে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসির আদেশ দিলেও তিনি ‘সম্পূর্ণ নির্দোষ’। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, উনি ন্যায়বিচার পাবেন এবং খালাস পেয়ে জেল থেকে বের হয়ে আসবেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নিয়মিত সাক্ষাতের অংশ হিসেবে আজ দেখা করেছি। গত মাসেও একদিন সাক্ষাৎ করেছিলাম।

আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করার বিষয়টি আইনজীবীরা দেখছেন বলে জানান মুজাহিদের স্ত্রী।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেলসুপার মো. জাহাঙ্গীর কবির জানান, নিয়মিত সাক্ষাতের অংশ হিসেবে মুজাহিদের পরিবারের সদস্যরা আজ তার সঙ্গে দেখা করেছেন। পরিবারের পাঁচ সদস্য তার সঙ্গে ৩০ মিনিট আলোচনা করেছেন।

আজ সকাল ১০টার দিকে মুজাহিদের আইনজীবীরা জানিয়েছিলেন, মুজাহিদের ছোট ছেলে আলী আহমেদ মাবরুফসহ পরিবারের পাঁচ সদস্য তার সঙ্গে দেখা করতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যাওয়ার জন্য অনুমতি পেয়েছেন।

কারাগারে প্রবেশের আগে মুজাহিদের ছেলে আহমেদ মাবরুফ বলেছিলেন, আজ বেলা ১১টায় বাবার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আমাদের পরিবারের পাঁচজনকে কারাগারে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ১৭ জুলাই মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। রায়ের বিরুদ্ধে মুজাহিদের আইনজীবীরা আপিল করলে সর্বোচ্চ আদালত ট্রাইব্যুনালের রায় বহাল রাখেন। গত ৩০ সেপ্টেম্বর মামলার চূড়ান্ত রায়ে মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে আপিল বিভাগ তা ট্রাইব্যুনালে পাঠিয়ে দেন। এ নিয়ে রিভিউ আবেদনের জন্য ১৫ দিন সময় পেয়েছেন মুজাহিদ।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.