ক্যাসিনো সম্রাট রাজনীতিতেও সম্রাট !
জুবায়ের সিদ্দিকী,সিটি নিউজ : দেশের ক্যাসিনো সম্রাট এক বছর ধরে জেলে রয়েছেন। তিনি হলেন ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি। একাধিক মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। গত সপ্তাহে তাকে আদালতে হাজির করা হলে এ সময় আদালতে দুই হাজারের বেশি নেতাকর্মী জড়ো হয়েছিলেন। তারা সম্রাটের পক্ষে শ্লোগান ও তার মুক্তি দাবী করেন।
অনুসন্ধানে জানা যায় যে, যারা সেদিন মিছিল করেছিলেন তারা সবাই আওয়ামী যুবলীগের ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মী।সম্রাট বহিস্কৃত সভাপতি হলেও পুরো ঢাকা জুড়ে সম্রাটের, কর্মী সমর্থক ও ক্যাডার রয়েছে। সম্রাট গত বছর আটক হওয়ার পর থেকে তার মুক্তির দাবীতে পোস্টার ছাপিয়ে মিছিল করেছে। মানববন্ধন করেছ। এক বছর পরও সম্রাটের পক্ষে কর্মীরা কাজ করছে। এটি এখন যুবলীগের জন্য নতুন সংকট সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করেন অভিজ্ঞজনরা। সম্রাট প্রথম আওয়ামী লীগ সভাপতির নজরে আসেন আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলাম কেলেংকারীতে।
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে যুবলীগের তৎকালীন চেয়ারম্যানকে বলেছিলেন, সম্রাট আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামের কাছে চাঁদা দাবী করেছে। শেখ হাসিনা বলেন, ঐ সংগঠনকে আমি ও রেহানা সহযোগিতা করি। এখন তারা একটা ভবন নির্মান করছে। আর সেখানে সম্রাট গিয়ে চাঁদা চেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি তখনই সম্রাটকে বহিস্কারের নির্দেশ দিয়েছিলেন। যুবলীগ সে সময় কিছুই করেনি। পরের বছর ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান শুরু হলে গ্রেফতার হয় সম্রাট। তখন দক্ষিনের যুবলীগ সভাপতি থেকে তাকে বহিস্কার করা হয়। কিন্তু যুবলীগের একজন কেন্দ্রীয় নেতা ও কেন্দ্রের আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ঢাকা মহানগর যুবলীগ মানেই সম্রাটের অনুসারী। শুধু যুবলীগ নয়, এখানে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্রাটকে একটা ফ্যাক্টর মনে করা হয়।