ইরফান সেলিম ওয়াকিটকি দিয়ে চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করতেন

0

সিটি নিউজ ডেস্ক : ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইরফান সেলিমের বাসায় উদ্ধারকৃত ওয়াকিটকি দিয়ে এলাকার চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করা হতো বলে জানিয়েছে র‍্যাব।

সোমবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায়, ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিম ও তার ছেলে ইরফান সেলিমের বাসায় তল্লাশি চালিয়ে অস্ত্র, বিদেশি মদ ও বিয়ার উদ্ধারের পর এক প্রেস ব্রিফিংয়ে র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ এ কথা জানান। এসময় তিনি বলেন, উদ্ধারকৃত ওয়াকিটকিগুলো অবৈধ ও কালো রঙের। এসব ওয়াকিটকি শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ব্যবহার করতে পারে। আরেকটি ভবনের একটি ফ্ল্যাটকে টর্চার সেল হিসেবে ব্যবহার করতেন ইরফান। কেউ কথার বাইরে গেলেই তাকে ধরে নিয়ে নির্যাতন করা হতো। তার বিরুদ্ধে দুটি নিয়মিত মামলা করবে র‍্যাব। একটা অস্ত্র আইনে, আরেকটা মাদক আইনে।

এদিকে, র‌্যাবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম জানান, মদ্যপ থাকায় ইরফান সেলিমকে ছয় মাস এবং সরকারি আদেশ অমাণ্য করে কালো রঙের ওয়াকিটকি ব্যবহারের দায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে র‍্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। অর্থাৎ মোট ১ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। এছাড়া, অবৈধ অস্ত্র, মাদক ও হ্যান্ডকাফ রাখার দায়ে তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হবে। ইরফান সেলিমের দেহরক্ষী জাহিদকেও ১ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

এর আগে, দিনভর হাজী সেলিম ও তার ছেলে ইরফান সেলিমের চকবাজারের বাসায় তল্লাশি চালানোর সময় অবৈধভাবে মজুত রাখা বিদেশি মদ ও বিয়ার উদ্ধার করে র‌্যাব। এছাড়া তার শয়নকক্ষ থেকে ৩৮টি ওয়াকিটকি, ৫টি রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি মেশিন, নিরাপত্তার কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও একটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও তার বাসা থেকে পুলিশের ব্যবহৃত হ্যান্ডকাফ উদ্ধার করা হয়েছে। র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে এসব উদ্ধার করা হয়।

গতকাল রবিবার (২৫ অক্টোবর) রাতে নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধরের মামলায় সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ও কাউন্সিলর ইরফান সেলিম এবং তার দেহরক্ষী জাহিদকে হেফাজতে নেয় র‌্যাব। সোমবার দুপুরে পুরান ঢাকার বাসা থেকে তাদের র‌্যাব হেফাজতে নেয়া হয়। হেফাজতে নেয়ার আগে ইরফানের গাড়িটি জব্দ ও তার চালককে আটক করা হয়। গতরাতের নৌ বাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় সকালে ইরফানসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় ‘মারধর ও হত্যাচেষ্টা’ মামলা করেন নৌবাহিনীর ওই কর্মকর্তা।

কলাবাগান বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ইরফানের গাড়ি মোটরসাইকেলে থাকা নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লে. ওয়াসিম আহমেদ খান ও তার স্ত্রীকে ধাক্কা দেয়। ধাক্কা সামলে ওয়াসিম গিয়ে গাড়িটির সামনে দাঁড়ালে তাকে মারধর করেন ইরফান সেলিম ও তার সহযোগীরা। পরে, রাতেই ধানমন্ডি থানায় জিডি করেন ভুক্তভোগী।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.