আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তিউনিসিয়ায় আধুনিক তথা বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় দেশটির চারটি সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ‘দ্য ন্যাশনাল ডায়ালগ কুয়ার্টেট’কে এ বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। শুক্রবার নরওয়ের নোবেল কমিটি এ ঘোষণা দেয়।
২০১১ সালের আরব অভ্যুত্থানের কথা উল্লেখ করে নোবেল কমিটি বলেছে, তিউনিসিয়ার অবস্থা যখন গৃহযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে তথন এই গ্রুপটি দেশটিতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। আরব বিল্পব বা জেসমিন বিল্পবের মুখে দেশটির সাবেক স্বৈরশাসক জয়নাল আবদিন বিন আলী পালিয়ে গেলে দেশটিতে প্রায় গৃহযু্দ্ধ লেগে যায়। তখন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে একটি গণতান্ত্রিক নির্বাচনে নিয়ে আসতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে গণতন্ত্রপন্থী ওই গ্রুপটি।
তিউনিসিয়ার নাগরিক সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ওই চারটি সংগঠন হলো- দ্য তিউনিসিয়ান জেনারেল লেবার ইউনিয়ন, দ্য তিউনিসিয়ান কনফেডারেশন অব ইন্ডাস্ট্রি, ট্রেড এ্যান্ড হ্যান্ডিক্রাফ্টস ও দ্য তিউনিসিয়ান হিউম্যান রাইটস লীগ এবং দ্য তিউনিসিয়ান অর্ডার অব লইয়ার্স।
নোবেল কমিটি বলেছে, চারটি সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত গ্রুপটিকে ২০১৫ সালের নোবেলের জন্য মনোনীত করা হয়েছে, আলাদাভাবে সংগঠনগুলো নয়।
আগামী ১০ ডিসেম্বর নরওয়ের রাজধানী অসলোতে আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুবার্ষিকীতে ওই পুরস্কার প্রদান করা হবে। সুইডিশ মানবহৈতষী ও বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেল ১৮৯৬ সালে মৃত্যুবরণ করেন। তার নাম অনুসারেই নোবেল পুরস্কার প্রবর্তন করা হয়।
নোবেল কমিটি আশা প্রকাশ করে বলেছে, এই পুরস্কারের ফলে তিউনিসিয়া তথা মধ্যপ্রাচ্য এবং বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের জনগণ গণতন্ত্র রক্ষায় উৎসাহিত হবে।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার চিকিৎসা বিজ্ঞানের মাধ্যমে ২০১৫ সালের নোবেল পুরস্কার ঘোষণা শুরু হয়। এরই মধ্যে পদার্থ, রসায়ন, সাহিত্য ও শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। আগামী সোমবার সর্বশেষ অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার ঘোষণা করা হবে।