চৌচালা মোড় সড়ক নিয়ে ওয়াসা ও সিডিএ মুখোমুখি
গোলাম শরীফ টিটু, সিটি নিউজঃ নগরীর ৩৭নং মুনিরনগর ওয়ার্ডের চৌচালা মোড় থেকে রিং রোড় (বেড়িবাঁধ) পর্যন্ত আধা কিলোমিটার সড়কে প্রতিদিন ৫-৭ হাজার গাড়ি চলাচল করে। কিন্তু হালিশহরে স্যুয়ারেজ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে শত বছরের পুরানো এই সড়কটি বন্ধ করতে চায় চট্টগ্রাম ওয়াসা।
এ সড়কটি বন্ধ করা হলে স্থানীয়দের যাতায়াতের বিকল্প কোন সড়ক নেই। অপরদিকে চৌচালা সড়কটি বন্ধ করা হলে যানজট বেড়ে যেতে পারে। এর প্রেক্ষিতে সিডিএ’র ইমারত নির্মাণ কমিটি ওয়াসাকে নির্মান কাজ বন্ধ রাখতে কারন দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেছে।
এদিকে সড়কের জায়গা ওয়াসা কর্তৃক একোয়ারকৃত এবং চৌচালা সড়ক রেখে কোনভাবেই স্যুয়ারেজ প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে প্রকল্প পরিচালক।
হালিশহর সচেতন নাগরিক সমাজ এর সাধারন সম্পাদক ছৈয়দ মো: এনামুল হক মুনিরী বলেন, চৌচালার মত গুরুত্বপুর্ন সড়কটি ওয়াসা বেআইনিভাবে বন্ধ করে দিতে চায়। বেড়িবাঁধের পাশে স্থানীয়দের নিজস্ব জায়গায় মৎস্য ও গবাদিপশুর খামার, সবজি ক্ষেত আছে। সড়কটি বন্ধ করে দিলে স্থানীয়রা সেখানে কিভাবে যাবে?
তিনি আরও বলেন, চৌচালা সড়কের উত্তর পাশে ২৬নং ওয়ার্ডের হালিশহর থানা ও দক্ষিণ পাশে ৩৭নং ওয়ার্ডের বন্দর থানা। এই দুই ওয়ার্ডের বিশাল জনগোষ্ঠী দীর্ঘদিন ধরে চৌচালা সড়কটি ব্যবহার করে আসছে। আমরা বেঁচে থাকতে সড়কটি বন্ধ হতে দিব না। এ ছাড়া সিটি কর্পোরেশনের ময়লার গাড়িগুলো চৌচালা রোড়ে যাতায়াত করে। তাই এ সড়ক বন্ধ করা যাবে না।
এ প্রসঙ্গে সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, চৌচালা থেকে রিং রোড় পর্যন্ত এ সড়কটি অনেক পুরানো। খতিয়ানেও এটি রাস্তা হিসেবে আছে।
গত ১২ অক্টোবর ওয়াসাকে সীমানা দেওয়াল নির্মান বন্ধ ও কারন দর্শানো নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। সিডিএর নোটিশে বলা হয়েছে,এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত সকল নির্মান কাজ বন্ধ রাখার জন্য। অন্যথায় ১৯৫২ ও তৎপরবর্তী সংশোধনী আইন ১৯৮৭ অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
স্যুয়ারেজ প্রকল্পের পরিচালক মো: আরিফুর রহমান জানান, আর.এস এ কোন রাস্তা ছিল না। বি.এস জরিপে রাস্তা দেখানো হয়েছে। এই জায়গা নিয়ে অনেকে মামলা করেছিল । এসবক মামলা ওয়াসার পক্ষে নিস্পত্তি হয়েছে। তবে তার দাবী রাস্তাটি রেখে কোনভাবে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।