অনুপ্রবেশকারীর বড় বিজ্ঞাপন হাজী সেলিম

0

জুবায়ের সিদ্দিকী, সিটি নিউজঃ বিএনপির স্থানীয় পর্যায়ের নেতা ছিলেন হাজী সেলিম। বেগম খালেদা জিয়াকে “মা” ডাকতেন। বিএনপির সমর্থনে ১৯৯৪ সালে ওয়ার্ড কাউন্সিলর হয়েছিলেন। ৯৬ এর নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন চেয়েছিলেন। কিন্তু তার এলাকায় মনোনয়ন পান নাসির উদ্দিন আহমদ পিন্টু।

মনোনয়ন না পেয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেন হাজী সেলিম। লালবাগের ঐ আসনে আওয়ামী রীগের সম্ভাব্য প্রার্থী ছিলেন ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন। তাকে বাদ দিয়ে মনোনয়ন দেন বেগম খালেদার পুত্র হাজী সেলিমকে।

আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে অনুপ্রবেশকারীদের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন হচ্ছে হাজী সেলিম। এরপর আর তাকে ঠেকায় কে। বুড়িগঙ্গা দখল, জমি দখল চলে। ২০০১ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইমেজ সংকটের অন্যতম কারন হাজী সেলিম। এমপি না হলেও বন্ধ ছিলনা তার অপকর্ম।

২০০৪ সালে একজন পুলিশ অফিসারকে লাঞ্চিত করেন হাজী সেলিম। এসময় তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়। ওয়ান ইলেভেনের সময় দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। নির্বাচনের আগে যখন দেশে ফেরেন তখন তার মাথায় ছিল অগনিত মামলা। এরপর শুরু হয় মামলা প্রত্যাহার নাটক।

২০১২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারী পুলিশের উপর আক্রমনের মামলাও প্রত্যাহার হয়। ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হন। ঐ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনকে পরাজিত করেন। সেই নির্বাচনে মহিউদ্দিনের কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা করেন। সে মামলাও থমকে গেছে।

এসব ঘটনায় হাজী সেলিমের উপলব্ধি হয় আইন না মানার প্রবণতা। সেই সন্ত্রাসের পড়পুত্র হাজী সেলিমের পুত্রও সেই অভিজ্ঞতায় দুর্বীনিত হয়ে উঠেছিলেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.