এই করোনা যুদ্ধে একাত্তরের মতই বিজয়ী হতে হবেঃ সুজন 

0

সিটি নিউজঃ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় করোনা ভাইরাসের প্রথম ধাক্কা সামাল দিয়ে জীবন ও জীবিকার চাকাকে গতিশীল রাখার পর শীত মৌসুমে দ্বিতীয় ধাক্কার আভাষ দিয়ে তা মোকাবেলায় যে নির্দেশনা দিয়েছেন এখন থেকেই তার বাস্তবায়ন শুরু করতে পারলেই একাত্তরের মতই এ যুদ্ধে বিজয়ী হবো।

তিনি আরো বলেন, এই যুদ্ধ অস্ত্র দিয়ে নয়, জনসচেতনতা ও আত্ম সুরক্ষার কৌশলগুলো রপ্ত করে প্রাত্যহিক জীবন-যাপনে প্রয়োগ করা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, অপ্রয়োজনীয় লোক সমাগম এড়িয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলতে একে অপরকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।

আজ মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) সকালে তিনি চট্টগ্রাম উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে নগরীর রেয়াজউদ্দিন বাজারে করোনায় দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় জনসচেতনতায় মাস্ক ও লিফলেট বিতরণ কার্যক্রমে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমনের শুরুতে এর ভয়াবহতা সম্পর্কে উন্নত দেশগুলোরও কোন আগাম ধারণা ও প্রস্তুতি ছিলো না। তাই ঐ দেশগুলোতে করোনার ছোবলে আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃত্যুর মিছিল দিন দিন দীর্ঘ হচ্ছিলো। মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশে করোনা সনাক্ত হলেও পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকায় কিছুটা ধাক্কা লাগলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা সামাল দিতে শূন্য থেকে একাত্তরের রণাঙ্গনের মতই জরুরী প্রতিরোধ প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। একাত্তরের মতই যার যা কিছু আছে তা নিয়ে মনোবলকে সম্বল করে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ, সেনাবাহিনী, রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাজীবী শ্রেণির নেতা-কর্মীরা সম্মুখ যুদ্ধের প্রতিরোধ ব্যরিকেড তৈরী করায় বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছে। এ জন্য ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশসহ অনেক সম্মুখ যোদ্ধা শহীদ হয়েছেন। এতগুলো প্রাণের বিনিময়ে বাংলাদেশ রক্ষা পেলেও শংকা এখনও কাটেনি। এই যুদ্ধের সর্বাধিনায়ক শেখ হাসিনা এখনও রণাঙ্গনেই আছেন।

তিনি করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় প্রথম পর্বের অভিজ্ঞতার আলোকে যে নির্দেশনাগুলো দিয়েছেন তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, প্রস্তুতি, সচেতনতা ও সর্তকতা অবলম্বনই যে-কোন বিপর্যয় মোকাবেলার পূর্বশর্ত।

তিনি এর অংশ হিসেবে প্রত্যেককে নাক-মুখ ঢাকার জন্য মাক্স ব্যবহার, নিয়মিত হাত ধোয়া, বাসস্থান, রাস্তাঘাট, জনচলাচলের পথ পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা ও লোকসমাগম এড়িয়ে চলা এবং স্বাস্থ্য বিধি মেনে নিজে চলা ও অপরকে চলতে উদ্বুদ্ধ করার উপর গুরুত্বারোপ করেন এবং রেয়াজউদ্দিন বাজারের ব্যবসায়ী, দোকানদার, কর্মচারীদের কঠোর ভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানা এবং নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের সামনে লোক চলাচলের পথ পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার আহ্বান জানান।

তিনি দোকানের সামনে যত্রতত্র আবর্জনা না ফেলে তাদেরকে চসিক কর্তৃক সরবরাহকৃত ব্যাগে তা জমা করে নির্দিষ্ট জায়গায় রাখতে বলেন এবং সেখান থেকে ঐসব আবর্জনা চসিক পরিচ্ছন্ন কর্মীরা সরিয়ে নেবে বলে উল্লেখ করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, চট্টগ্রাম উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান, লায়ন ডা. আর.কে. রুবেল, প্রফেসর জিনো বোধি ভিক্ষু, সজল চৌধুরী, মনির আহমদ, মো. জসিম উদ্দীন চৌধুরী, এস এম জাভেদ হোসেন, কাউন্সিলর পদপ্রার্থী আবদুস সালাম মাসুম, আকতার হোসেন, নাসির উদ্দীন, সমাজসেবক সালেহ আহমদ সোলেমান, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরীসহ চসিক প্রকৌশল ও পরিচ্ছন্ন বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.