আজকে থেকে বিজিবি ত্রিমাত্রিক বাহিনীঃ প্রধানমন্ত্রী

0

সিটি নিউজ ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিজিবিতে হেলিকপ্টার সংযোজনের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিজিবি এয়ার উইংয়ের এই যাত্রা বিজিবির সার্বিক কর্মকাণ্ডকে আরও গতিশীল করবে বলে আমি বিশ্বাস করি। দুটি হেলিকপ্টার উদ্বোধনের মাধ্যমে আমি বিজিবিকে একটি ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে ঘোষণা করছি। আজকে থেকে বিজিবি ত্রিমাত্রিক বাহিনী।

প্রধানমন্ত্রী দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সততা ও ইমানের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-(বিজিবি)’র সদস্যদের আহ্বানও জানিয়েছেন ।

আজ রবিবার (৮ নভেম্বর) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিজিবি এয়ার উইংয়ে সংযোজিত দুটি নতুন এমআই-৭১ই হেলিকপ্টারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালের ৫ ডিসেম্বর পিলখানায় তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলসের তৃতীয় ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজে বলেছিলেন, এ বাহিনী দেশের সীমান্ত রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধের মাধ্যমে সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেছিলেন, ‘ইমানের সঙ্গে কাজ করো, সৎপথে থেকো, দেশকে ভালোবাসো’।

শেখ হাসিনা বলেন, এটি শুধু বিজিবি না, আমি মনে করি বাংলাদেশের সবার জন্যই এটি প্রযোজ্য। আমি মনে করি প্রত্যেকেই বঙ্গবন্ধুর এই নির্দেশনা মেনে চলবে এবং বিজিবি সদস্যরাও এ নির্দেশনা মেনে দেশপ্রেমে উদ্ধুদ্ধ হয়ে সততা ও ইমানের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে এই বিজিবির সুনাম অক্ষুণ্ন রাখবে এবং এ বাহিনীকে একটা শ্রেষ্ঠ বাহিনী হিসেবে আপনারা গড়ে তুলবেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা মুজিববর্ষ উদযাপন করছি। এই মুজিববর্ষে বিজিবি দুটি হেলিকপ্টার পেল। এটি অত্যন্ত গৌরবের ও আনন্দের বলে আমি মনে করি।

তিনি বলেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ২২৫ বছরের ঐতিহ্যবাহী সীমান্তরক্ষী বাহিনী। মহান মুক্তিযুদ্ধে এই বাহিনীর সাহসী ও গৌরবোজ্জ্বল অবদান রয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর বিজিবির উন্নয়নে নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথাও এ সময় উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর মাঝে কিছু ঘটনা ঘটেছে যেটি অনাকাঙ্ক্ষিত। এই ধরনের ঘটনা আর ঘটুক সেটি আমরা চাই না। অনেক প্রাণ ঝরেছে। যারা মারা গেছেন, তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি এবং যারা এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত তারা নিজেদের যেমন ক্ষতি করেছে, বাহিনীর ক্ষতি করেছে, দেশের ক্ষতি করেছে। ভবিষ্যতে আমরা আশা করি এই জাতীয় ঘটনা যেন না ঘটে।

সরকারপ্রধান বলেন, আমাদের স্থলসীমানা চুক্তি জাতির পিতা ১৯৭৪ সালে করে যান। কিন্তু এটি আইনও তিনি পাস করে যান, ভারত তখনও পারেনি। কিন্তু ১৯৭৫ সালের পর জিয়াউর রহমান, এরশাদ, খালেদা জিয়া যারাই ক্ষমতায় এসেছে, তারা কখনও আমাদের সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন অথবা আমাদের সীমান্ত যে আমাদের, এটির ব্যাপারে তারা কোনো উদ্যোগই গ্রহণ করেনি। আমি প্রথমবার যখন আসি, তখন থেকে উদ্যোগ গ্রহণ করি।

অনুষ্ঠানে পিলখানায় বিজিবি সদরদফতর প্রান্তে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন, বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.