আগ্রাবাদে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ‘মন’ মাদকাসক্ত নিরাময়কেন্দ্র সিলগালা
সিটি নিউজঃ চট্টগ্রামে কোন ধরণের লাইসেন্স ছাড়াই চলছে কতিপয় মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্র। শুধুমাত্র সিটি কর্পোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে চলছে এসব মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রগুলো। কোন সিকিৎসকই নেই। তেমনি নগরীর আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকার মাদকতাসক্ত নিরাময় দেন্দ্রের নাম ‘মন’। এসব কেন্দ্রের বেশীরভাগ রোগীর মাদকাসক্ত বা সানসিক কোন সমস্যা না থাকলেও এরাই রোগী হিসেবে ভর্তি আছেন।
জানা গেছে, ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধ শাহ আলমের কোনো মানসিক সমস্যা নেই। অবাধ্য হওয়ায় বা সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ থাকায় ভর্তি করে দেয়া হয় তথাকথিত মাদকাসক্তি চিকিৎসাকেন্দ্রে। বছরের পর বছর কেটে গেলেও তাদের আর স্বাভাবিক জীবনে ফেরা হয় না। গত ১৬টি বছর কাটছে মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে। ইতোমধ্যে চট্টগ্রামের বৈধ-অবৈধ সব কেন্দ্রেই তিনি থেকেছেন। ভাইদের সঙ্গে সম্পত্তির বিরোধে তার এ দুর্বিষহ জীবন। সম্পত্তির বিরোধ না হলেও পরিবারের ছোট-খাট সমস্যা নিয়েও কিশোরদের পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে এখানে।
আজ মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) দুপুর ১২ টা থেকে ২ টা পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে ‘মন’ নামের প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মেট্রোর উপ-পরিচালক রাশেদুজ্জামান বলেন, লাইসেন্স ছাড়াই অবৈধভাবে মন নিরাময় কেন্দ্রটি পরিচালিত হচ্ছিল। বিষয়টি নজরে আসলে অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেয়া হয়।তবে অভিযানকালে মন নিরাময় কেন্দ্রের মালিক ইমরানকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। ইমরান নামের ওই লোকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
উপ-পরিচালক রাশেদুজ্জামান জানান, মন নিরাময় কেন্দ্রে মোট ১২ জন মানসিক রোগী ছিল। এর মধ্যে তিনজনকে অভিভাবকরা নিয়ে গেছেন। বাকি ৯ জনকে নগরীর পাঁচলাইশের সরকারি নিরাময় কেন্দ্রে হস্তান্তর করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, আমরা লাইসেন্স দিছি মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের জন্য সেখানে যদি চোর, বাটপারদের ভর্তি করায় তাহলে কোথায় যাব আমরা। তাই আমরা এই নিরাময় কেন্দ্র বন্ধ করে দিয়ে এখানে যারা আছে তাদের সরকারি নিরাময় কেন্দ্রে পাঠিয়ে দিব।
নগরীতে এধরনের আরো ৩টি অবৈধ কেন্দ্র রয়েছে। অভিযানের প্রথম দিনের বন্ধ করে দেওয়া হল একটি অবৈধ মদকাশক্তি নিরাময় কেন্দ্র। শহরে আরও যে দুটি নিরাময় কেন্দ্র আছে সে দুটিও বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।