মাত্র ১০ দিনের জন্য নগর ছাত্রদলের পুর্নাঙ্গ কমিটি!

0

জুবায়ের সিদ্দিকী, সিটি নিউজঃ দীর্ঘ আট বছরেও চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের পুর্নাঙ্গ কমিটি গঠিত হয়নি। ২০১৩ সালে নগর ছাত্রদলের ১১ সদস্যের যে কমিটি ঘোষনা করা হয় সে কমিটির ১০ জনই বর্তমানে বিএনপি, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের গুরুত্বপুর্ন পদ পেয়েছেন। তারা সেদিকে ব্যস্ত। এদের সবাই দুই থেকে চারটি পদের দায়িত্বে রয়েছেন।

এ অবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে নতুন কমিটি গঠনের তাগিদ দিয়ে আসছেন নগর বিএনপির নেতারা। একাধিক বৈঠকের পর নতুন নেতৃত্ব নির্ধারনের পরিবর্তে পুর্নাঙ্গ কমিটি ঘোষনার সিদ্ধান্তে হতবাক চট্টগ্রামের বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদল নেতাকর্মীরা। কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষুদ্ধ বিএনপির সিনিয়র নেতারাও। আট বছর পর নতুন কমিটি না দিয়ে পুর্নাঙ্গ কমিটির সিদ্ধান্তকে আত্বঘাতি মনে করছেন তৃনমুল নেতাকর্মীরা। এ ধরনের কর্মকান্ড দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিএনপির মতো বড় দলের ছাত্র সংগঠনকে নিয়ে হাসির খোরাকে পরিনত করতে পারে বলে মনে করেন তারা।

অবশ্য কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতারা বলছেন, ত্যাগীদের মুল্যায়ন করতেই ১০ দিনের জন্য পুরনো কমিটি পুর্নাঙ্গ করা হচ্ছে। অত্যাচার-নির্যাতনের সনদ হিসেবে কমিটিতে পদে আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে স্থানীয় নেতাকর্মীদের অভিযোগ, নগর বিএনপির এক নেতা ও ছাত্রদল সভাপতি গাজি সিরাজের পরামর্শে এ ধরনের আত্বঘাতি সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। এ জন্য চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র সহ লিপ্ত থাকলে সদস্যপদ বাতিল হবে। ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক বেলায়েত হোসেন একই সঙ্গে নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারন সম্পাদক সহ মোট চারটি পদে আছেন।

এ ছাড়া সর্বশেষ বিএনপি কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এক নেতার এক পদ অনুসরন করতে হবে। অথচ বর্তমান কমিটির বেশিরভাগ নেতা দুই থেকে চারটি পদের দায়িত্বে। আছে নীতি ও শৃঙ্খলাবিরোধী কাজের অভিযোগ। এর পরও সাংগঠনিক নিয়ম না মেনে এবং বিএনপির সিনিয়র নেতাদের পরামর্শ উপেক্ষা করে এক সপ্তাহের জন্য চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের পুর্নাঙ্গ কমিটি ঘোষনা করতে যাচ্ছে।

দলীয় সুত্র জানায়, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান, সাধারন সম্পাদক এম. এ হাসেম বক্কর সহ শীর্ষ নেতারা নগর ছাত্রদলকে গতিশীল করতে নতুন কমিটি গঠনের পরামর্শ দিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলকে চিঠি দিয়েছিলেন। সেখানে নেতৃত্ব নির্ধারনে বেশকিছু সুপারিশ করেছিলেন তারা। নিয়ন্ত্রনকারী হিসেবে কমিটি ঘোষনার আগে বিএনপির নেতাদের মতামত নেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

এ ক্ষেতে ব্যর্থ কমিটি হিসেবে আখ্যায়িত নগর ছাত্রদলের ১১ জনের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী পুর্নাঙ্গ কমিটি চুড়ান্ত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। একাধিক নেতাকর্মীর সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, ২০০০ সালে এসএসসি পরীক্ষার ভিত্তি ধরে নগর ছাত্রদলের নতুন কমিঠি গঠনে সিনিয়র নেতাদের কাছ থেকে তালিকা চাওয়া হয়েছিল। স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ সিনিয়র নেতারা তালিকা দিয়েছিলেন। সভাপতির জন্য ডা. শাহাদাত হোসেন ইফতেখার নিব্রোর নাম প্রস্তাব করেছিলেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মীর হেলাল প্রস্তাব করেছিলেন শরিফুল ইসলাম তুহিনের নাম। সাংগঠনিক ভিত্তি না থাকায় আলোচনা থেকে বাদ পড়েন তারা।

অন্যরা সাকিলকে সভাপতি ও সাইফুলকে সাধারন সম্পাদক করে কমিটি গঠনের পরামর্শ দেন। সে অনুযায়ী কমিটি গঠনের তোড়জোর শুরু হয়। কিন্তু ডা. শাহাদাত তাতে সন্তুষ্ট হতে পারেননি। আসন্ন চসিক নির্বাচনে মেয়রপ্রার্থী হওয়ায় প্রকাশ্যে কারও পক্ষ নিচ্ছেনা। ফলে বিশ^স্থ গাজি সিরাজের উপর ভরসা রাখতে চাইছেন। তাই পুর্নাঙ্গ কমিটি ঘোষনা করতে দায়িত্বপ্রাপ্তদের ম্যানেজ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে নেতাকর্মীদের মধ্যে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এ বিষয়ে জানতে নগর ছাত্রদলের সভাপতি গাজী সিরাজকে ফোনে পাওয়া যায়নি। কমিরি অপর দায়িত্বশীল সদস্যকে জানতে চাইলে তিনি মন্তব্য করতে অপরাগতা প্রকাশ করেন।

সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবনকে দায়ী করছেন নেতাকর্মীরা। পদ বেচাকেনার অভিযোগ করেছেন অনেকে। জানা গেছে, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী একজন তিন পদে থাকতে পারবেন না। গঠনতন্ত্রের নীতি আদর্শ বিরোধী কাজ, শৃঙ্খলা ভঙ্গ, ব্যক্তিজীবনে নৈতিকতা পরিপন্থী কোন কাজে

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.