হঠাৎ উত্তাপ

0

জুবায়ের সিদ্দিকীঃ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি ভাস্কর্য নির্মাণকে কেন্দ্র করে ধর্মভিত্তিক কয়েকটি সংগঠনের হঠাৎ বিরোধীতায় দেশে উত্তাপ সৃষ্টি হয়েছে।

এ নিয়ে নানামুখি তর্কবিতর্কের মধ্যেই গত শুক্রবার রাতে কুষ্টিয়ায় নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাংচুরের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। সরকার ও ক্ষমতাসীন দল এতদিন নমনীয় ভাব দেখালেও কুষ্টিয়ার ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছে।

চট্টগ্রামসহ সারাদেশে এখন ভাস্কর্য পাহাড়ায় বসেছে পুলিশ।  ভাস্কর্য ভাংচুরের ঘটনায় চারজন গ্রেফতার হয়েছে।  তাদের দুজন মাদ্রাসার শিক্ষক ও দুজন মাদ্রাসার ছাত্র।  পুলিশ বলছে হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মওলানা মামুনুল হক ও সৈয়দ মুহম্মদ ফয়জুল ক্কারীদের বয়ানে উদ্বুদ্ধ হয়ে এই মাদ্রাসা ছাত্র বঙ্গবন্ধুুর ভাস্কর্য ভাংচুর করেছে।

মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে উদ্দ্যেশ্যমূলকভাবে ভাস্কর্য নিয়ে বিরোধ ও বিতর্ক তৈরী করা হয়েছে। এর পেছনে নিশ্চয় রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি আছে।

সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকায় যাত্রাবাড়ীর ধোলাইখাল পাড়ে বঙ্গবন্ধুর একটি সুউচ্চ ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধীতায় নামেন হেফাজত নেতারা।  এই ভাস্কর্যটি ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের অংশ।   এক্ষেত্রে বিএনপি প্রকাশ্যে কিছুনা বললেও ভাস্কর্য ইস্যুটিকে স্পর্শকাতর ও রাজনৈতিক হিসেবে মনে করছে।

সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গনে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে পরিচিত গ্রীক দেবী থেমিচের একটি ভাস্কর্য হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনের পর স্থানান্তর করা হয়।  সরিয়ে ফেলা হয় ঢাকার বিমান বন্দর ও জিপিওর সামনের ভাস্কর্যও।  গত মাসের শেষের দিক থেকে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যটিকে ঘিরে হঠাৎ করে আবারও ভাস্কর্য বিরোধী আন্দোলনে দানা বাঁধতে থাকে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.